স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজার সংলগ্ন চিত্রা নদী আবার ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ভাঙ্গনে রূপগঞ্জ এলাকায় চিত্রার পাড়ের ভওয়াখালীর বেশ কিছু এলাকা ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া আশে-পার্শ্বের এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০টি বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে শহরের ভওয়াখালীর রূপগঞ্জ নাট্য সংস্থা ও মিতালী সংঘের সামনে নড়াইল-যশোর সড়কের পার্শ্বে খোকন অধিকারী ও বাসুদেব অধিকারীর প্রায় ১শ গজ এলাকায় মেহগিনি, রেইনট্রি,আমসহ ১০টি গাছ নদী গর্ভে বিলীন হয়। ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এক মাস পূর্বে এ স্থানের ৫শ মিটার উত্তরে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের পার্শ্বে নির্মিত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভের পূর্ব পার্শ্বে এবং বিনা পনি বিশ্বাসের বাড়ির বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়েছে। গত ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী বিনা পানি ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ২টি ঘর ও ২০টি গাছ নদী গর্ভে বিলীন হয়।
নড়াইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ঐ এলাকার বাসিন্দা কল্যান মুখাজ্জী জানান, নদীর পূর্ব প্রান্তে কয়েক’শ মিটার জুড়ে নতুন চর তৈরি হওয়ায় নদীর পানি প্রবাহ পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ প্রান্তে পানির চাপ বেশী থাকায় বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। পূর্ব প্রান্তে সৃষ্টি হওয়া চর না কাটলে পশ্চিম প্রান্তের ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হবে না।
নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে আসি এবং নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি-বিন-মুর্তজা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই। দ্রুত এই ভাঙ্গণ রোধ করতে না পারলে প্রায় ৩০টি বাড়িসহ গোটা শহর হু/মকির মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে তাৎক্ষনিকভাবে কয়েক হাজার হাজার জিও ব্যাগ ফেলে আপাতত ভাঙ্গণ বন্ধ করতে হবে। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।