স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা সমস্যার কারণে একটানা সাড়ে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার প্রসুতি মায়েদের সি/জারিয়ানের মাধ্যমে সন্তানের জন্মদানের কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে উপজেলার প্রসুতি মায়েদের চিকিৎসাসহ সিজা/রিয়ান করনে সমস্যা দুর হওয়াসহ প্রসূ/তি মা/য়েদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে রো/গীসহ পরিবারের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, অপররেশান থিয়েটার ব্যবহারের অনুপয়োগী হয়ে পড়া,সর্বপরি আবেদনবিদ (এ্যনেসথিসিয়া) চিকিৎসক ও গাই/নী বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য থাকার কারণে গত ২০১৮ সালের জুলাই মাসের দিকে হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের পদ পূরণ হলেও গা/ইনী বিশেষজ্ঞের পদটি এখনও শুন্য রয়েছে। তবে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় সিজারিয়ানের কাজটি শুরু করা হয়েছে। যে কারণে একটানা সাড়ে ৩ বছর স্থানীয় রোগীরা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সেবাটি চালু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তানের জন্মদানকারি মা ফাতেমা বেগম (২০) ও তার স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে প্রসূ/তি মায়েরা চিকিৎসা সেবা নেয়াসহ সিজারিয়ান নিয়ে নানা সমস্যা ও দূ/র্ভো/গের শি/কার হয়েছেন তারা। গত ৩ বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রসুতি মায়েদের সিজারিয়ানসহ সুচিকিৎসার জন্য উপজেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভো/গান্তির শি/কার হতে হয়েছে। কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েও সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য প্রসূ/তি মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ,নড়াইল সদর হাসপাতাল ও পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন অখ্যাত ও নাম সর্বস্ব ক্লিনিকে ছুটতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটি মেরামতসহ একজন এ্য/নেসথেসি/য়া বিশেষজ্ঞ আসায় নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের ব্যবস্থায় প্রসূ/তি মায়েদের সিজা/রিয়ান চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।