লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরু/দ্ধে ছাত্র পি/টিয়ে হ/ত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলভাগ গ্রামে আক্তার হোসেন এতিমখানার ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্র আরিফ বিল্লাহ ইতনা ইউনিয়নের ডিগ্রীর-চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পুর্বে আরিফ বিল্লাহকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। গত ৭/৮ দিন পুর্বে ওই মাদ্রাসায় টাকা হারা/নোর ঘটনায় ২১ জানুয়ারী মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ ছাত্র আরিফ বিল্লাহকে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় লা/ঠি দিয়ে পি/টায়। এরপর আরিফ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মাদ্রাসায় রেখে তাকে গোপনে চিকিৎসা করা হয়। এদিকে আরিফের লজিং বাড়ি ওয়ালী (মহিলা) আরিফের কোন খবর না পেয়ে মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের নিকট জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারে আরিফ অসুস্থ্য।
এসময় বাড়ির মালিক আরিফ অসুস্থ্য জানিয়ে তাদের বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে আরিফের ফুফু লাহুড়িয়া থেকে এসে আরিফকে বাড়িতে নিয়ে যায়। অসুস্থ্য আরিফ ফুফুর নিকট ঘটনা খুলে বলে। ২৩ জানুয়ারী(রোববার) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ছাত্র আরিফ (৯) তার ফুফু বাড়ি লাহুড়িয়ায় মা/রা যায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
নিহত আরিফের বাবা নুরইসলাম বলেন, আমি ঢাকাতে চাকুরী করি ছেলের অসুস্থ্যতার খবর শুনে বাড়িতে আসলে একদিন পর আরিফের মৃর্ত্যু হয়। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন,তার ছেলে তাকে জানিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে পুরুষাঙ্গের সাইডে মারধর করেছে। তিনি অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুলাহর শাস্তির দাবী জানান। ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আশরাফ আলীর সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন বন্ধ করে আত্বগোপনে রয়েছে বলে জানা যায়। এরপর ওই মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ ঘটানর পর তিনি পালিয়েছে বলে জানা যায়। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবু হেনা মিলন বলেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে কি কারনে মৃর্ত্যু হয়েছে বলা যাবে।