স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার বাসগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর, চাঁদপুর ও বগুড়া বিলে জলাবদ্ধতার কারনে প্রায় ৩ হাজার একর জমি ৪ বছর যাবত পানির নীচে অনবাদি পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ কতিপয় ভমিদস্যু পানি নিষ্কাশনের খাল দ/খল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বাসগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর, চাঁদপুর ও বগুড়া গ্রামের ৩টি বিল পানিতে ডুবে আছে। কোন ফসল নেই। অথচ মাত্র ৪ বছর আগে এসব বিলে বছরে ৩টি ফসল হতো। ওই এলাকার বগুড়া গ্রামের মাওলানা মোঃ কাছেদ হোসেন এবং আলাউদ্দিন চৌধুরী ক্ষো/ভের সাথে বিল দেখিয়ে বলেন, কতিপয় লোভি ভূমিদ/স্যুর কারনে ৩টি বিল পানির নীচে। দীর্ঘ ৪টি বছর ৩ ফসলি এ ৩টি বিলে কোন ফসল হচ্ছে না। সরকার কর্তৃক খনন করা পানি নিষ্কাশন খালের গোপালপুর বটতলার মোড় হতে আগ্রহাটি স্কুলের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার খাল গোপালপুর ও বগুড়া গ্রামের কতিপয় অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। খাল দখল করে কেউ কেউ ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। আবার কেউ কেউ খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি খাল পুন:খননের জন্য বার বার জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন ফল পাননি এলাকাবাসি।
বরং এ বিষয়ে নিরব থাকার জন্য হু/মকির শি/কার হয়েছেন জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের জন্য আবেদনকারি ভূমি মালিকরা। গুটি কয়েক প্রভাবশালী ভূমিদস্যুর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন নিরীহ সাধারণ ভূমি মালিকরা। বছরের পর বছর ফসল না হওয়ায় সাধারণ কৃষিজীবী পরিবারগুলি দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাচ্ছে। অনেক পরিবারে প্রচন্ড অভাব অনটন দেখা দিয়েছে।
অর্ধাহারেঅনাহারে তাদের দিন কাটছে। অথচ মানবিক বিবেচনা করেও ওই এলাকার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে কেউ কোন পদক্ষপ নিচ্ছেন না। এহেন পরিস্থিতে নিরীহ এলাকবাসি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সরজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।