স্টাফ রিপোর্টার
লোকালয়ে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটা মালিকের কাছে জমি লিজের পাওনা টাকা আদায় এবং জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালিয়া পৌরসভার বেন্দা এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন নামে এক ভূক্তভোগী।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার কালিয়া পৌরসভার বেন্দা এলাকার বাসিন্দা মৃত ফায়েক শিকদারের ছেল জামাল হোসেন (৬০) লিখিত বক্তব্যে জানান, বেন্দা মৌজার ৪টি দাগে পৈত্রিক এবং নিজের ক্রয়কৃত মোট ৪ একর ৪৪ শতাংশ জমি রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর এলাকার মৃত আকাম শেখের ছেলে রিকাইল শেখ তার এই জমি প্রতি বছর দুই লাখ টাকার চুক্তিতে লিজ নিলেও প্রথম বছর ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর থেকে রিকায়েল শেখ আর এক টাকাও প্রদান করেনি। চার বছরের লিজের বকেয়া প্রায় ৮ লাখ টাকা এমনকি জমিও ফেরত দিচ্ছেন না। ওই জমিটুকুই তাঁর একমাত্র সম্বল।
ইট ভাটার মালিক রিকায়েল শেখ এর কাছে পওনা টাকা চাইতে গেলে তাঁকে নানা প্রকার হুমকি ধামকি ও জীবননাশের ভয় দেখানো হয়ে থাকে। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানালেও কোন সুফল পাননি। লোকালয়ে গড়ে ওঠা ওই অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য যশোর ও ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং খুলনা ও ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
জামাল হোসেন জানান, তাঁর চার সন্তানের মধ্যে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। এর মধ্যে বড় ছেলে এমবিএ পাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে, ছোট ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছোট মেয়ে খুলনায় গাজী মেডিকেলে পড়ে। অর্থাভাবে মেডিকেলে পড়–য়া মেয়ে এবং মাদ্রাসায় পড়–য়া ছেলে লেখাপড়া করলেও তাদের খরচ জোগাতে পারছেন না। ফলে, আয়হীন জামাল হোসেন এখন বিভিন্ন দায়-দেনায় পড়ে এলাকা ছাড়া।
উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ মাইলের মধ্যে ইটভাটা করা যাবেনা, এ ধরনের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে লোকালয়ে গড়ে ওঠা এই সুপার ব্রিক্সের ভাটার ৫শ’ গজের মধ্যে কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঁচকাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান রয়েছে।