স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল শহরের ইমন ক্লিনিকে নিম্নমানের অ/পারেশন সামগ্রী ব্যবহার এবং চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ঝুমা নামে না/রীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনায় উক্ত ক্লিনিকের মালিক ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের উপযুক্ত বিচার চেয়ে চরম সংক/টাপন্ন না/রী ও তার পরিবার বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টায় ডিজিটাল লাইব্রেরীতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে ইমন ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসার বলি আরও কয়েকটি ভূ/ক্তভোগি পরিবার নড়াইল পৌরসভার সামনে এ মানববন্ধন করেন।
সদর উপজেলার হবখালী গ্রামের মাহফুজ নুর রিপন লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তার স্ত্রী ঝুমা বেগম সন্তান প্রসবের জন্য “ইমন ক্লিনিকে” ভর্তি হয় এবং নড়াইল সদর হাসপাতালের তৎকালীন সা/র্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো.আকরাম হোসেন সিজার অপা/রেশন করেন। সিজা/রের কয়েকদিন পর ত/লপে/টের সেলাই ফে/টে র/ক্ত এবং প্র/স্রাবের রাস্তা দিয়ে র/ক্ত পড়া শুরু হয়। এ সময় ডা.আকরামুজ্জামান ভালো কোন পরামর্শ দেয়নি।
ফলে ২৩ ডিসেম্বর নড়াইল সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনার বেসরকারি একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, নিম্নমানের সুতা ব্যবহার এবং অপা/রেশনের পরে পেটের ভিতরে থাকা রক্ত পরিস্কার না করায় স্ত্রী’র তলপে/ট র/ক্ত জমে জরা/য়ুতে ইন/ফেকশন হয়ে গেছে, দ্রুত অপা/রেশন করে জ/রায়ু ফেলে দিতে হবে। এ সময় উপায় না পেয়ে জরায়ু কে/টে ফেলা হয়। এরপরও স্ত্রী সুস্থ না হওয়ায় দু’বার ঢাকা এবং একবার ভারতের কোলকাতার একটি হাসপাতালে আরও দফা অ/পারেশন করা হলেও সে সুস্থ হয়নি।
এ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী আমি ইমন ক্লিনিক মালিক, তার স্ত্রী ও চিকিৎসকের নামে নড়াইলের নালি/শী আদালতে মামলা দায়ের করি। সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসক দ্বারা ম্যানেজ হয়ে এ ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন দিতে কালক্ষেপণকরেন এবং মনগড়া প্রতিবেদন দেন। আমার কোন বক্তব্যই নেয়নি তদ/ন্ত কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে উচ্চ শিক্ষিতা অসুস্থ ঝুমা বেগম বলেন, “নড়াইলের ইমন ক্লিনিকে সিজার করতে এসে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিকের অব্যস্থাপনায় মরতে বসেছি। গত দেড় বছর ধরে আমি ঠিকমতো বসতে ও শুতে পারি না। আমার নবজা/তককে কোলে নিয়ে দু/ধ খাওয়াতেও পারি না। আমি এখন এক অথর্ব নারী, আমার ভবিষ্যৎ জীবন কিভাবে কাটবে তাও জানিনা। চিকিৎসার জন্য সর্বোস্ব খুইয়ে ১৫ লাখ টাকার বেশী ব্যয় হলেও সম্পূর্ন সুস্থ হওয়া সম্ভব নয় বলে চিকিৎসদের ধারনা।
এদিকে নড়াইল পৌরসভার সামনে বক্তব্য দেন, ভূক্তভোগি নড়াইল শহর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকির হোসেন, শহরের মফিজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান মোল্যা, নান্নু মোল্যা প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, ইমন ক্লিনিকে মা হতে এসে অন্ততঃ ৫০ রো/গী চরম ভোগা/ন্তির শিকার। ভুল চিকিৎসা ও ইমন ক্লিনিকের অব্যবস্থপনার দায়ে ওই ক্লিনিক বন্ধসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
তবে এ ব্যাপারে নড়াইলের সিভিল সা/র্জন ডা. নাসিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে রয়েছে। একটি তদ/ন্ত কমিটিও করা হয়েছিল এবং সে কমিটিই প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদন দিতে গেলে ভূ/ক্তভোগি পরিবার ও অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হয়। তবে বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।