স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় কলেজ ছাত্রীর আপ/ত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় লো/কল/জ্জা ও ক্ষো/ভে-অপমা/নে জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ষা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আ/ত্মহ/ত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধায় নিজ বাড়িতে ফ্যা/নের হুকের সাথে ওড়/না পেঁ/চিয়ে আ/ত্মহ/ত্যা করে সে। জান্নাতুল উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের মাইগ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে, খুলনা বয়রা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে।
সংবাদ পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ রাতেই লা/শ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়/না তদ/ন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল ম/র্গে প্রেরণ করেছে ।
আ/ত্মহন/নকারী বর্ষার চাচাতো ভাই এড.এস এম আল মামুন জানান, লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির পাঁচুড়িয়া গ্রামের শহিদুল থান্দারের ছেলে বর্ষার খালাতো ভাই তাশরিফ থান্দারের সাথে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক তাশরিফ গোপনে তার আপ/ত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে বিভিন্ন সময় অনৈ/তিক মে/লামেশার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে বর্ষা রাজী না হওয়ায় তাশরিফ তার কাছে থাকা আপ/ত্তিকর ছবি বর্ষা এবং তার বান্ধবীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়।
ছবির বিষয়টি পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। বর্ষার মা তার মোবাইল চেক করে আপ/ত্তিকর ছবি দেখতে পেয়ে মেয়েকে ব/কাঝ/কা ও গা/লিগা/লাজ করে। এ দিকে প্রেমিক তাশরিফের মা বর্ষাদের বাড়ীতে যেয়ে তাকে ও পরিবারের লোকজনকে ব/কাঝ/কা করে আসে।
আপ/ত্তিকর ছবি পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীসহ এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী লোক-ল/জ্জা ও ক্ষো/ভে দুঃখে শুক্রবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ীর নির্মানাধীন ভবনের সি/লিং ফ্যা/নের রডের সাথে গ/লায় ওড়না পেছিয়ে আ/ত্মহ/ত্যা করে। এ ঘটনায় বর্ষার পরিবারের পক্ষ থেকে লোহাগড়া থানায় আ/ত্মহ/ত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মাম/লা দা/য়ের হয়েছে।