স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানায় টিকটকে বাঁধা দেওয়ায় মায়ের প্রতি অভিমান করে এক তরুণীর আত্মহ/ত্যা করেছে। সোশাল মিডিযায় ভাইরাল হতে শহর বা গ্রামের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন কন্টেন্ট দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। সামাজিক কারণে কিছু কিছু পরিবার থেকে ছেলে মেয়েদের এসব কাজে বাধা দিয়ে থাকেন।
এমনই এক টিকটক করাকে কেন্দ্র করে মেয়েকে ভিডিও বানাতে বাধা দেওয়ায় মায়ের প্রতি অভিমান করে বিষ পান করে আ/ত্মহ/ত্যা করেছে সুমি আক্তার ( ১৯) নামে এক টিকটকার। নিহত টিকটকার সুমি নডাইলের কালিয়ায় উপজেলার নড়াগাতী থানার মুলখানা গ্রামের নিজাম মল্লিকের মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শনিবার ( ৭ মে) আনুমানিক সকাল ১০টার সময় বিভিন্ন ছেলেদের সাথে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তে ছাইলে মা আমেনা বেগম নিষেধ করেন। এরই জের ধরে মেয়ে সুমির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মেয়ে এই রাগ মনের ভীতর পুসে রাখে।
ঐদিন দুপুরে মা আমেনা বেগম ঘুমিয়ে পরলে ঘরে থাকা ফসলে দেয়া কীটনা/শক নিয়ে পাশের বাড়ি রাশিদা বেগমের টিনের ঘরে গিয়ে কীটনা/শক পান করে সুমি আ/ত্মহ/ত্যা চেষ্টা করে।
বিষয়টি পরিবার ও স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার শারির অবস্থার ক্রমেই অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাবা নিজাম মল্লিক জানান, খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সুমি মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় অ/পমৃত্যুর অভিযোগে মা/মলা করেছেন তার মা। লা/শ ময়/নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদ/ন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। ময়না তদন্ত শেষে আজ সকালে সুমি আক্তারের দা/ফন সম্পন্ন হয়েছে।