স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া নূর নবীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন আগামি বুধবার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে এ ঘটনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনই জমা দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ জুন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তদন্ত কমিটি প্রধান অতিঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী শনিবার (২জুন) জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে কতো পৃষ্টার প্রতিবেদন, কতোজন ও কারা জড়িত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে। একই ঘটনায় ২৩জুন পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন অতিঃপুলিশ সুপার মো.রিয়াজুল ইসলাম সোমবার (৪ জুন) পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন। কাদের নাম এসেছে বা কারা জড়িত, কতো পৃষ্টার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অতিঃপুলিশ সুপার কিছু বলেননি।
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, বুধবার (৬ জুন) সদর আমলি আদালতে নূর নবীর রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। রিমান্ডে আনা ৪জন মর্জিাপুর গ্রামের শাওন, মনিরুল, রিমন ও রুখালি গ্রামের রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ পর্যন্ত গোবরা গ্রামের নূর নবীসহ ৫জন গ্রেফতার হয়েছে।
গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় ফেসবুকে মহানবী (সাঃ)কে অবমাননাকর এক পোস্টে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিত করা হয়। ফেসবুকে পোস্ট দেবার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় মামলায় ১৭০-১৮০জনকে আসামি করা হয়েছে।