গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রাণ কোম্পানির প্রাণ ফ্রুটো বোতল ও মোড়কের আদলে তৈরী হচ্ছিল ক্ষতিকারক ম্যাংগো জুস এবং লিচি পানি। জুসে আম আর লিচি পানিতে লিচুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তাতে। পাওয়া গেছে ঘন চিনি, নন ফুড গ্রেড কালার, ফ্লেভারসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর ক্যামিকেল। এ ধরনের ভেজাল জুস ও লিচু পানি ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে রুকনাকান্দা এলাকায় কৃষাণী রাইস ব্র্যান ওয়েল কোম্পানির সংলগ্ন স্থানীয় শহীদ মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাসায় তৈরি হচ্ছিল এ ভেজাল পানীয় পণ্য।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ ভেজাল জুস কারখানা সাময়িক বন্ধ করেন ও মালিককে সাত কর্মদিবসের মধ্যে যোগাযোগ করার নোটিশ দেন। এসময় ভেজাল জুস ও লিচি পানির বোতল জব্দ করা হয়। অভিযানকালে পাশ্ববর্তী কলতাপাড়া এলাকায় এসকেএস প্রোডাক্টস নামে একটি মুড়ির কারখানাকে আয়োডিন বিহীন লবণ ও নষ্ট চাল ব্যবহারের কারণে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক জিএম রহমান ফিলিপ এবং র্যাব ১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার জনাব আখের মুহম্মদ জয় এর নেতৃত্বে একটি টিম।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ এ অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের জানান- এ কারখানায় প্রাণ কোম্পানির প্রাণ ফ্রুটো বোতল ও মোড়কের আদলে তৈরী হচ্ছিল ক্ষতিকারক ম্যাংগো জুস এবং লিচি পানি। ঠিকানা বিহীন জুসের মোড়কের গায়ে ছোট করে লেখা ছিল ডিএসএস ও লিচির মোড়কে আসিফ ফুট এন্ড ব্যাভারেজ। তিনি বলেন- অভিযানকালে কারখানায় জনৈক এক মহিলাকে কর্মরত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই মহিলা জানান-ময়মনসিংহ শহরের দুলাল মিয়া নামে জনৈক এক ব্যবসায়ী এ কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন।