স্টাফ রিপোর্টার
মা/দকব্যবসায়ীর দেয়া ইয়া/বা ট্যাবলেট নিয়ে মো.হুমায়ুন কবির (২৮) নামে এক যুবক নিজেই ফেঁ/সে গিয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ তাকে ১০২ পিছ ই/য়াবাসহ আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে রাতেই কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে স্থানীয়রা বলেছেন গরু ব্যবসায়রি বাড়ীতে রাখতে দেয়া ইয়া/বা নিয়ে উপজেলার পেড়লী পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দেয়ার পর ওইদিন রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিসহ পুলিশের বক্তব্য নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পেড়লী গ্রামের মৃত সুলতান জোয়ারদারের ছেলে আলমাস জোয়ারদার তার প্রতিবেশী গরুব্যবসায়ী মৃত জালাল জোয়ারদারের ছেলে মো.খাজা জোয়ারদার হুমায়ুনকে ফাঁসানোর জন্য একটি ব্যাগে তার কাছে ১০২ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট দেয়। ট্যাবলেটগুলো পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে রাত ১১ টার দিকে পেড়লী ফাঁড়ি পুলিশ তাকে আটক করে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস আই মো.শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে উপজেলার পেড়লী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.ফোরকান শেখসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গরু ব্যবসায়ী খাজার বাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রের ঘটনাটি হুমায়ুন গত ৫ আগষ্ট রাতে খাজাসহ স্থানীয় লোকজনকে জানিয়েছিলেন। এরপর শনিবার রাতে ইয়াবাগুলো নিয়ে পেড়লী পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হলে হুমায়ুনকে আটক করা হয়।
খাজা জোয়ারদার অভিযোগ করে বলেন, তারা চারভাই মিলে গরুর ব্যবসা করেন। তাদের কাছে সব সময় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা থাকে। তাদেরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে তদবিরের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য আলমাস তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। যা তিনি হুমায়ুনের মাধ্যমে জানতে পেরে গ্রামের লোকজনকে জানিয়েছিলেন। আর হুমায়ুন আলমাসের দেয়া ইয়াবা পুলিশের কাছে দিতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছে।
আলমাস জোয়াদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না।
উপজেলার হাবিুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের সহকারি প্রভাষক মো.আলমগীর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি ষড়যন্ত্র ও মা/দক ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ধরণ প্রকাশ করতে ইয়াবাসহ পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হওয়ার পর হুমায়ুনকে আটক করা হয়। পরে তাকে আটক করে মামলা দায়ের মোটেই সমীচিন নয়।
পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ এস আই মো.শফিকুল ইসলাম পুলিশ ফাঁড়িতে ইয়াবা জমা দেয়ার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, শনিবার রাত ১১ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ হুমায়ুনকে আটক করে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, ইয়াবাসহ হুমায়ুনকে আটকের পর ১ জনকে আসামী করে রাতেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।