নড়াইলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রফিডেন্ট ফান্ডের ৮লাখ টাকা গায়েব!

0
21
নড়াইলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রফিডেন্ট ফান্ডের ৮লাখ টাকা গায়েব!
নড়াইলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রফিডেন্ট ফান্ডের ৮লাখ টাকা গায়েব!

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাবেক স্টেশন অফিসার এস এম তবিবর রহমান চাকুরী জীবন শেষে গত ২০২০ সালের ১ আগষ্ট পূর্ণ অবসরে যান। কিন্তু গত ৩ বছরেও প্রফিডেন্ট ফান্ডে তার জমা করা ৮ লাখ টাকা পাননি। টাকাগুলো নড়াইলের তৎকালিন উপসহকারি পরিচারক মো.শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছে বলে ভূক্তভোগীর অভিযোগ। চাকুরী জীবনের সঞ্চিত ওই টাকা পেতে তবিরর রহমান গত ১৬ আগষ্ট ফাঁয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবিবর রহমান কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামের মৃত মো.ইমান উদ্দিন শিকদারের ছেলে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, চাকুরীর মেয়াদ শেষে এস এম তবিবর রহমান পূর্ণ অবসর গ্রহন করেন। অবসর ছুটি নিয়ে যথা নিয়মে তিনি প্রফিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পেতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। বিধি অনুযায়ী নড়াইল জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা তার প্রফিডেন্ট ফান্ড অগ্নি/ খুলনা/১৬২ নম্বর হিসাবের হিসাব চুড়ান্ত করেন। অপরদিকে গত ২০২০ সালের ৯ মার্চ জেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নড়াইলের উপসহকারি পরিচালক তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। প্রত্যয়ন অনুযায়ী ওই বছর ১১ মার্চ উপসহকারি পরিচালক সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় তার ৩৩০০৪৭৬৩ নম্বর হিসাবে ৬৫২০০১ নম্বর একটি চেক জমা করেন। পরবর্তীতে টাকা গুলো তুলে সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদাহ জেলায় বদলি হয়ে যান। অপরদিকে অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবর রহমান গত তিন বছর ধরে নড়াইল ফায়ার স্টেশানে ধর্ণা দিতে দিতে নিজেই এখন অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু তার সঞ্চিত টাকা তিনি পাননি বলেও তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয় এস এম তবিবর রহমান বলেন, ‘প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে অবসর ছুটিকালে আবেদন করা হয়। কিন্তু নড়াইলের তৎকালিন উপসহকারি পরিচালক মো.শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা দিনের পরদিন আমাকে ঘুরাতে থাকে। এরপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহে বদলি হয়ে যান। তারপর আমি নড়াইল অফিস থেকে গত ৩ বছরেও কোন সুরাহা পায়নি। বর্তমানে আমি শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু জীবনের সঞ্চিত টাকা পায়নি।’

নড়াইলের তৎকালিন উপসহকারি পরিচারক ও বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত মো.শামিমুল ইসলাম বলেন,‘তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে অতিসম্প্রতি ঘটনাটি জানতে পেরে খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি ওই টাকা নড়াইল অফিসের অফিস সহায়ক মো.নাহিদ হোসেন তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে। তবে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় নাহিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান।’

অফিস সহায়ক মোঃ নাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘তবিবর রহমানের পাওনা টাকার বিষয়ে একাধিকবার অফিসে বসা হয়েছে। তবে আমি কোন জালিয়াতি করিনি।’

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারি পরিচালক মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন,‘তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগ দায়েরের ঘটনাটি জেনেছি।