স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নড়াগাতী থানার টোনা চৌরাস্তায় গাজী ফার্মেসীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (১৮ মার্চ) রাতে ওই গ্রামের দিদার শেখের ছেলে আশিক শেখ(১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। আশিক শেখ বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করায় স্কুল/ কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আসক্ত হয়ে নিজের ও পরিবারের সর্বনাশ ডেকে আনছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
স্বজনরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ওইদিন আশিক প্রেশক্রিপশন ছাড়া পার্শবর্তী বড়দিয়া বাজারে ঘুমের ওষুধ কিনতে গিয়ে ফিরে আসে। পরে বিকেলে টোনা চৌরাস্তায় গাজী ফার্মেসীতে গিয়ে ২ পাতা ওষুধ কিনে রাতে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ২০ সেপ্টেম্বর অসুস্থ আশিক ওই ফার্মেসী থেকে ওয়ুধ কেনার কথা বললেও যথাযথ প্রমান তারা দেখাতে পারেনি।
অভিযুক্ত গাজী ফার্মেসীর মালিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি ফার্মাসিস্ট কোর্স ও ড্রাগ লাইসেন্স সম্পন্ন করে সরকারী নির্দেশনা মান্য করেই ওষুধ বিক্রি করছি। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ আমি বিক্রি করিনা। তবে আশিক ওইদিন আমার দোকানে ঘুমের ওষুধ কিনতে এসেছিল। প্রেসক্রিপশন না থাকায় কোন ওষুধ বিক্রী করিনি।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মো. আব্দুল হাসিব জানান, ১৮ মার্চ রাত ১০ টার দিকে আশিক নামে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে এক রোগী আসে। এখন মোটামুটি আশংকামুক্ত। তবুও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।