নড়াইল হাসপাতালে সহঃ পরিচালক ও নার্সকে এবং পরে রোগি, স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে মারধর!

0
12
নড়াইল হাসপাতালে সহঃ পরিচালক ও নার্সকে এবং পরে রোগি, স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে মারধর!
নড়াইল হাসপাতালে সহঃ পরিচালক ও নার্সকে এবং পরে রোগি, স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে মারধর!

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদর হাসপাতালে রোগির স্বামীর বিরুদ্ধে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও নার্সকে মারধরের অভিযোগ এবং পাল্টা হিসেবে রোগি, তার স্বামী ও শ্বাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ রোগির শ্বাশুড়ীকে গ্রেফতার করে বুধবার (১২ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করেছে। এদিকে এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না এ অভিযোগ এনে রোগি হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার সার্বিক দিক নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সদর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার বাদি সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ইনচার্জ, নার্স বিউটি পারভীন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ওয়ার্ড চিকিৎসক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত নাগের সাথে গাইনী ওয়ার্ডে ডিউটি করছিলেন। এ সময় নড়াইল পৌরসভার বরাশোলা এলাকার ইমরান হোসেনের স্ত্রী গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত সুমাইয়া পারভীনকে (১৯) প্রেসক্রিপশনসহ উক্ত চিকিৎসককে দেখানোর ব্যবস্থা করলে চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা সনদ ও পরীক্ষার রিপোর্টগুলি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থাপত্র দেন। ডিউটি শেষ করে অপারেশন থিয়েটারের পাশের লেবার রুমে অন্য একটি সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকার সময় রোগির স্বামী ইমরান লেবার রুমে অনধিকার প্রবেশ করে তার সাথে তর্কে জড়িয়ে গালাগাল ও এক পর্যায়ে লাথি মারেন। তখন ইমরানের মা তার কাপড় ধরে টানাটানি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. আসাদ-উজ-জামান মুন্সি এগিয়ে এলে ইমরান তাঁকেও লাঞ্চিত করে।

এদিকে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ২০নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া সুমাইয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে হাসপাতাল ত্যাগের পূর্বে অভিযোগে জানান, জরায়ুতে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশান ঠিকমতো দেখেননি। শুধু বলেছে কোনো সমস্যা নেই। এরপর স্বামী বিষয়টি ভালোভাবে জানতে গেলে তাকে, স্বামী শ্বাশুড়ী ও স্বামীকে হাসপাতালের কয়েকজন মারধর করলে শ্বাশুড়ীর কান কেটে গিয়ে কয়েকটি সেলাই লাগে। তিনি বলেন এখানে থেকে লাভ কি ? সকাল থেকে কোনো নার্স এসে খোঁজখবর নেয়নি। তাই চলে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) মো. আসাদ-উজ-জামান মুন্সি বলেন, ডিউটিরত চিকিৎসক রোগির কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন এবং ব্যবস্থাপত্রও দিয়েছেন। তারপরও ছেলেটি এ অনাকাংখিত ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে আমিন টেলিভিশন নামে একটি ব্যক্তিগত চ্যানেলে এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার সার্বিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সদর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান সন্ধ্যায় জানান, সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় ইমরান ও তার মায়ের মা রিমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে এবং রিমাকে (৪২) গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।