স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বসুপটী মৌজার দুটি দাগে পৃথক দুটি জাল দলিল তৈরি করে মোট ৮শতক জমি আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসুপটী গ্রামের মো: বাবুল শেখ জাল দলিল তৈরির পর লোহাগড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে নাম পত্তন করতে গেলে দাখিলকৃত জমির দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণীত হওয়ায় ২০২১ সালের ৮নভেম্বর স্বাক্ষরিত আদেশে তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী আবেদনটি না মঞ্জুর করেন।
অভিযোগে জানা গেছে,লোহাগড়া উপজেলার বসুপটী মৌজার ১২৪৭ দাগের ৩শতক জমির প্রকৃত মালিক বসুপটী গ্রামের মো: হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া একই মৌজার ১২৫৩ দাগের ৫শতক জমির মালিক বসুপটী গ্রামের মৃত্যুঞ্জয়ী দাস।
ওই গ্রামের বাবুল শেখ হাবিবুর রহমানের মালিকানার ৩শতক জমির জাল দলিল (নম্বর ৩৩৯১/১৯৯৯) এবং মৃত্যুঞ্জয়ী দাসের মালিকানার ৫শতক জমির জাল দলিল (নম্বর ৪১২৭/১৯৯৮) তৈরি করে গতবছর জমির নাম পত্তনের জন্য আবেদনের পর ২০২১ সালের ১৮ আগষ্ট তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার (তহশীলদার) কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পত্র দেন। পরবর্তীতে দাখিলকৃত দুটি দলিল জাল ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি ভূয়া প্রমাণীত হওয়ায় ২০২১ সালের ৮নভেম্বর স্বাক্ষরিত আদেশে তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী আবেদনটি না মঞ্জুর করেন।
কাশিপুর ইউনিয়নের তৎকালীন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আফিল উদ্দিনের যোগসাজশে বাবুল শেখ নাম পত্তনের অপচেষ্টা চালান বলে জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন হাবিবুর রহমানের ছেলে এসএম আসাদুজ্জামান।
কাশিপুর ইউনিয়নের তৎকালীন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আফিল উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। জমির নামপত্তনে বাবুলের পক্ষে তার কোন প্রকার যোগসাজশ নেই।
এ ব্যাপারে বাবুল শেখ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।