স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, মাঠে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা। গত রোববার বিকাল থেকে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টিপাত যা রাতে বৃদ্ধি পেয়ে দিন অবধি চলছে। ৭নং বিপদ সংকেতের আওতাভুক্ত হওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। দিন মজুররা পড়েছে মহাবিপাকে।
উঠতি ফসল বিশেষ করে আখ, বেগুন, মরিচ, কলা, পেপে, বিভিন্ন জাতের কপিসহ শীতের শাক- সবজীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। জররুী প্রয়োজন ছাড়া কোন লোকজনের রাস্তায় দেখা মিলছেনা। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং অতিক্রম না করা পর্যন্ত কৃষকের মনে আতংক বিরাজ করছে। খলিশাখালী গ্রামের কৃষক মোঃ লিয়াকত শেখ জানান, তার ১একর জমির আখ বাতাসে এবং বৃষ্টির পানি মাটিতে মিশে গেছে। রাজুপুর গ্রামের কৃষক তৌহিদ সরদার জানান,তার ৬০ শতাংশ জমির বেগুন ও মরিচ গাছের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজুপুর ,খলিশাখালী, মল্লিকপুর, বাকা, সিংগা, জয়পুরসহ উপজেলার কয়েকশত কৃষকের এ রকম প্রায় শতশত একর মাঠের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে। এছাড়া রাত থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
সকালে কিছু সময়ের জন্য পাওয়া গেলেও সারা দিন আর বিদ্যুতের দেখা না পেয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজুপুর গ্রামের নজরুল সরদার ও এবাদুর রহমান গাজী জানান, বিদ্যুতের অভাবে পানি তোলা এবং রান্না খাওয়া এক প্রকার বন্ধ বললেই চলে। আবার ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে লোহাগড়া বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ায় গ্রীড বিপর্যায়ের কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এভাবে বিদ্যুৎ বিহিন বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে সারাদিন অতিক্রম করে চলেছে লোহাগড়াবাসী।