স্টাফ রিপোর্টার
বিদেশি এক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পদ নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। যেখানে সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সম্পদ দেখানো হয় ৫১০ কোটি টাকা।
এই খবর প্রকাশ করেছে ভারতের ‘ক্রিকট্রেকার’ নামের একটি ক্রীড়া সংবাদ মাধ্যম। যার সূত্র ধরে বাংলাদেশের কিছু অনলাইন পোর্টালও মাশরাফীর সম্পদ নিয়ে গতকাল সোমবার খবর প্রকাশ করে। আলোচনা ডালপালা মেলতেই ‘ক্রিকট্রেকার’ অবশ্য সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে রাতেই মাশরাফী তার সম্পদ নিয়ে করা প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বরং অবাক হচ্ছেন, কী করে যাচাই বাছাই না করে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম এই খবর প্রচার করে দিলো!
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মাশরাফি লিখেছেন, ‘ভিনদেশি কোনো হাবিজাবি সস্তা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তাদের মনগড়া যা ইচ্ছা লিখতেই পারে। সেসবকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাদেরকে সূত্র ধরে নিয়ে যখন আমাদের দেশের নানা ওয়েবসাইট যা ইচ্ছা তাই লিখে দেয়, তখন দুঃখ লাগে বটে!’
‘দেশের একজন মানুষকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, আপনারা চাইলেই তো খোঁজ-খবর নিতে পারেন। তা না করে উল্টো তাদের উদ্ভট নিউজের সূত্র ধরে আপনারা নিউজ করছেন। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার ন্যূনতম চর্চা নাহয় করলেন না, অন্তত নিজেদের এতটা সস্তা হিসেবে তুলে ধরতেও তো বিবেকে নাড়া দেওয়া উচিত!’
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, “ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অসংখ্য সাংবাদকর্মীরে সঙ্গে মিশেছি, তাদেরকে কাছ থেকে দেখেছি। এমন অনেক সাংবাদিক আছেন, ক্রিকেট তাদের কাছে শুধু পেশাই নয়, আরও বেশি কিছু। অনেক সীমাবদ্ধতা, ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা মধ্যেও অনেকেই অনেক কষ্ট করে কাজ করে যান ক্রিকেট খেলাকে ভালোবেসে, দেশের ক্রিকেটকে ভালোবেসে। তাদের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা সবসময়ই ছিল, আছে ও থাকবে।
আমাকে নিয়ে প্রকাশিত খবরটির জন্য এখানে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে, অবশ্যই তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। তবে সব মিডিয়ারই বোঝা উচিত, আমাদের পরিবার আছে, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আছে, সামাজিক মর্যাদা ও আত্মমর্যাদা আছে। স্পর্শকাতর কোনো খবর প্রকাশের আগে তাই যতটা সম্ভব নিশ্চিত হওয়া উচিত।
আর আমার বিরোধী মতের যে ভাইরা মনে করছেন, এসব উড়ো খবরকে পুঁজি করে আমার সম্মানহানি করবেন, তাদেরকে বলব, আপনারা কেবল সময় নষ্টই করছেন। রাজনীতির এই বিশাল জগতে মাশরাফি তুচ্ছ ও নগন্য একজন। আমার দল এত ঐতিহ্যবাহী এবং এতটা বড়, সেখানে আমি খুবই ক্ষুদ্র ও সামান্য একজন। আমার মতো একজনের পিছু লেগে থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা মানে আকাশ-কুসুম কল্পনা। আমি আমার পথেই থাকব। আপনারা নিজেদের পথটা খুঁজতে থাকুন!”