স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকায় রবিউল ইসলামের ক্রয়কৃত পাঁচ শতক জমিতে বাড়িঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই এলাকার বাকার মোল্যা, বাচ্চু মিয়া মোল্যা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্যাসহ তাদের লোকজন ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে বাড়িঘর নির্মাণ করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি উদ্ধারসহ বাড়িঘর নির্মাণে বাধা না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, নড়াইল পৌরসভার সিটি কলেজ পাড়ায় (মহিষখোলা) ৭৪ নম্বর মৌজার খতিয়ান নম্বর ৩৮৩ ও ৩৮৫, দাগ নম্বর ৩৩ এবং দলিল নম্বর ৮২৯১ জমির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করি। এই জমিতে বাড়ি করতে গেলে বাকার মোল্যা, বাচ্চু, নজরুলসহ তাদের লোকজন বাঁধা দিয়ে জীবননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত রবিউল ইসলাম বলেন, ক্রয়কৃত পাঁচ শতক জমিতে বাড়িঘর করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। চাকুরির সুবাধে আমি ঢাকায় থাকি। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে আসলে প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপক্তাহীনতায় আছি। জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন জমিতে কাজে বার বার বাধা দিলে একপর্যায়ে জমির সাবেক মালিক আবু দারদাহের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাকার মোল্যা, বাচ্চু মিয়া মোল্যা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্যাসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি হয়। যার নম্বর এম/পি ৪৯৫/২২। বিজ্ঞ আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নড়াইল সদর থানার ওসিকে আদেশ দেন। পুলিশ আদালতের আদেশ যথাযথ পালন করলেও অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার জমিতে কাজ বাধা দেয়। পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করি।
এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধ ভাবে জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম। অন্যদিকে, ২০ নভেম্বর নড়াইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাকার মোল্যা, বাচ্চু মিয়া মোল্যা, এমদাদুল শেখ ও আবুল কাশেম মোল্যাসহ মহিষখোলা এলাকার ২৮জনের নামে মামলা দায়ের করেন তিনি।