গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
রাজাকারের পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে প্রবেশ করতে দিবেন না। কারন এরা দলের ভেতর অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সঙ্গে কোন আত্মীয়তা করবেন না। এদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন। তাহলে এদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বেতান্দর ট্র্যাজেডি উপলক্ষে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় বেতান্দর হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন- স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে পুনরায় বিজয়ী করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্লু কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সমাজসেবক মোঃ মতিউর রহমান মজনুর সঞ্চালনায় এ স্মৃতিচারণ সভায় বক্তব্য দেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আঃ রহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি, ইউপি চেয়ারম্যান আল মুকতাদির শাহিন, বোকাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মুক্তি, তোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, শ্রমিক নেতা আব্দুর রউফ মনজু, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ জানান- ১৯৭১ সনে ২৭ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাশ^বর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে পাক হানাদার বাহিনী দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় গৌরীপুর উপজেলার বেতান্দর গ্রামে প্রবেশ করে। তারা এদিন বেতান্দর, ভাদেরা ও অষ্টগড় এলাকায় স্থানীয় ৬৫ পরিবারের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ- লুটপাট করে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। ঘটনারদিন স্থানীয় সোনা ধর নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। তিনি আজও ফিরে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এ বেতান্দর গ্রামে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের দাবি করেন তিনি। #