স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটি অবৈধ ও সংগঠনের সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এ অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শহরের হাতেম আলী রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি উত্তম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আল হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা উল্লেখ করেন- ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরকে ৫ ডিসেম্বর পুর্নবহাল করেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। এদিকে এ পুর্নবহালের খবরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন অলি টাকার বিনিময়ে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগসহ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের নয়টি ইউনিটের নতুন কমিটি একদিনে ঘোষণা করেন। এক্ষেত্রে আলী ইমরান রনিকে সভাপতি ও সাব্বির আহমেদ রাসিককে সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ৪ ডিসেম্বর ব্যাকডেট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয় ৬ ডিসেম্বর। জেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার এমন এ গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে গৌরীপুরসহ ময়মনসিংহ জেলায় সর্বত্র আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি নিন্দার ঝড় ওঠে। তাঁরা এ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত বিতর্কিত দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের মোহাম্মদ আল আমিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে পুনর্বহালের পর ব্যাকডেটে (পূর্বের তারিখ) গৌরীপুরসহ ময়মনসিংহ জেলার যে ৯টি ইউনিটের কমিটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ঘোষণা করা হয়েছে তা সংগঠনের সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অবৈধ।’
এদিকে মঙ্গলবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুরে ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাঁরা এদিন রাতে অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং মিছিল শেষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।