স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর হাসপাতালে গ্যারেজ নিয়ে মানুষের সাথে দুর্বব্যবহার ও মোটরসাইকেল-সাইকেলে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত ও কোনো ধরনের প্রচার ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্তকে সবাই অনৈতিক হিসেবে দেখছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ পূর্বে হটাৎ করে নড়াইল সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মোটরবাইক,মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল রাখার জন্য একটি গ্যারেজ করা হয়েছে। সেখানে মোটরবাইক ও মোটরসাইকেল প্রতি ২০টাকা এবং বাইসাইকেল প্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্ত অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ও প্রচার ছাড়া এটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অভ্যাস অনুযায়ী গ্যারেজের বিষয়টি না জেনে যারা হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যে সাইকেল রাখছেন তাদেও সাথে চরম দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলু জানান, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পেশাগত কাজে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধাক এবং সহকারি পরিচালকের এর কাছে যাবার পর মোটরসাইকেলটি হাসপাতাল ক্যাম্পসের একটি জায়গায় রাখলে তার সাথে গ্যারেজের কর্মী মিজানুর নামে এক তরুণ দুর্বব্যহার করে। তখনই বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়েছি।
মানবাধিকার কর্মী কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েই করতে হয়। গ্যারেজের জন্য প্রচারেরও প্রয়োজন ছিল। এছাড়া কারও সাথে দুর্বব্যহার ও জোর-জুলুম করা অন্যায়।
হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু বলেন, হাসপাতাল গ্যারেজের বিষয়টি আমার জানা নেই।
তাছাড়া হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এ বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। কয়েক বছর আগে হাসপাতালের অভ্যন্তরে একটি গ্যারেজ করার সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। যেহেতু এটি সরকারি হাসপাতাল এবং এখানে গরীব ও সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সেখানে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও বাইসাইকেলের ভাড়া নির্ধারণ বেশী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আব্দুল গফ্ফার বলেন, হাসপাতালের শৃংখলা আনার জন্য স্থানীয় যুবকদের আবেদনের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেন। একজনের সাথে দূর্বব্যহারের বিষয়টি জানার পর অভিযুক্তকে ডেকে নিয়ে তাকে শাসন করা হয়েছে। তবে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল প্রতি অর্থ কম নেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।