স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় প্রায় ৬ কিঃ মিঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে শতাধিক বাড়ীঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মহল। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে পাউবো’র বিপুল পরিমান জমি উদ্ধারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম, পার বিষ্ণুপুর, পারভোমবাগ ও বুড়িখালী বাজার এলাকা পর্যন্ত চিহিৃত দখলদাররা পাউবো’র জমি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা বিন্ডিং, আঁধা পাঁকা টিনের ঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। দখলদাররা ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে ওই জমি অবৈধভাবে ভোগ-দখল করে আসছেন বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থাণীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে পারভোমবাগ গ্রামের পাউবোর ড্রেনে বালু ভরাট করে মালায়েশিয়া প্রবাসী মৃত আবুতালেব ফরাজীর ছেলে আমিন ফরাজী দালানঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন । মৃত জব্বার মোল্যার ছেলে বোম্বে ফেরত জাবের মোল্যার আঁধা পাঁকা ঘরের কাজ এখনো চলমান। মৃত বাহাদুর মোল্যার ছেলে ওমির মোল্যা স্থায়ী পাঁকা দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন।
এছাড়া বুড়িখালী বাজারে মুঞ্জুর মোল্যা ৫টি পাঁকা দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। মৃত নুরুল হক মোল্যার ছেলে ইব্রাহীম মোল্যা তিনটি পাঁকা দোকান ঘর তুলেছেন এবং তার উত্তরে জনৈক প্রতিবেশীর পাঁকা দোকান ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তরা জানান, নদী ভাঙ্গনে বসতি বিলীন হওয়ায় ২৫-৩০ বছর ধরে আমরা এসমস্ত জমি ভোগদখল করে আসছি।
এ বিষয়ে নড়াইলের পাউবো’র কালিয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম আল জহির সরকার বলেন, অভিযুক্তরা সরকারের অনুমতি ছাড়াই জমি জবরদখল করেছেন। একারণে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা পরিদর্শনে গেলে তারা সাময়িক কাজ বন্ধ রাখেন। চলে আসলে আবার শুরু করেন। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।