দু’পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ: গৌরীপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

0
1
গৌরীপুরে একটি বিকল মিটারে ১৪ প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ!
গৌরীপুরে একটি বিকল মিটারে ১৪ প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ!

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

দু’পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার এস আই মোঃ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী উপজেলার বোকাইনগর ইউপির পাঠানটুলা গ্রামের গোলাম মুর্শিদ খান পাঠান (৩৭) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল বরাবরে এ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে যে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পুলিশ সদস্যকে দিয়ে অভিযোগটি তদন্ত করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গোলাম মুর্শিদ খান জানান- একই গ্রামের প্রতিবেশী আলী নেওয়াজ খান পাঠান ও জেরিন ফারহানা কোন প্রকার কাগজপত্র দলিলাদি ছাড়াই তার ৩৫ শতক কৃষি জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে উল্লেখিত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের লোকজন বাঁধা দিয়ে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। তাই নিজের জমির মালিকানা রক্ষার্থে গোলাম মুর্শিদ সম্প্রতি আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এ জমিতে ১৪৪ ধারা করে। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও অতি সম্প্রতি গৌরীপুর থানার এস আই আব্দুল লতিফের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় তার জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন গোলাম মোর্শেদের প্রতিপক্ষের লোকজন।
গোলাম মুর্শিদ খান বলেন- পুলিশের এই পক্ষপাতিত্বের ঘটনায় তিনি এস আই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে যে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সেই পুলিশ সদস্য আব্দুল লতিফ অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ায় হতবাক হয়ে পড়েন গোলাম মুর্শিদ। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন- পক্ষপাতিত্ব ও প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগ করায় তাকে বর্তমানে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকী দিচ্ছেন ক্ষুব্দ আব্দুল লতিফ।

আলী নেওয়াজ খান পাঠান ও জেরিন ফারহানা জানান- জমিটি তারা পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। জমির কাগজপত্র তারা আদালতে দেখাবেন। গোলাম মুর্শিদ যে জমি নিজের বলে দাবি করছেন, প্রকৃতপক্ষে এটি তার জমি নয়। গোলাম মুর্শিদের জমি অন্য কোথাও বলে দাবি করেন তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সুমন মিয়া জানান- এস আই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসানের নিকট পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান- এস আই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তিনি এখনো হাতে পাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই আব্দুল লতিফ জানান- তাঁর বিরুদ্ধে গোলাম মুর্শিদের উত্থাপিত অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে কোন প্রকার হুমকী দেননি তিনি। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- গোলাম মুর্শিদের লিখিত অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছে।