স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.হাসানুজ্জামানের বাসায় দূধর্ষ ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ভোর পৌঁনে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৮/১০ জনের ডাকাতদল ডুপ্লেস বাসার গ্রীল কেটে বাসায় ঢুকে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। গত ২/৩ আগে শহরের জাহাঙ্গীর কবিরের বাসায় একদল ডাকাত ডাকাতি করতে গেলে টের পেয়ে জাহাঙ্গীর কবির ফাঁকা গুলি করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, নড়াইল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মাছিমদিয়া গ্রামে ভোররাত পৌঁনে ৪টার সময় ৮/১০ জনের একটি ডাকাতদল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী মো.হাসানুজ্জামানের ডুপ্লেক্স বাসার গ্রীল কেটে বাসার মধ্যে ঢুকে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর হাত পা বেঁধে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা, ডলার, বিদেশী ঘড়ি, লাইসেন্সকৃত বন্দুক, পিস্তল ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এতে তাঁর আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ডাকাতদের মুখোস ও মাস্ক পরা ছিলো। ডাকাতি করার সময় নড়াইলের আঞ্চলিক ভাষায় তাদের কথা বলতে দেখা গেছে।
ডাকাতি ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতির বিষয়ে শহরের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কবির জানান, নড়াইলে দিনে ও রাতে প্রায়ই ডাকাতি হচ্ছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালোনা। সত্যিকথা বললে প্রশাসনের বিরুদ্ধে চলে যাবে। তাই নিজেদের সাবধান নিজেদেরই হতে হবে। এছাড়া কোন উপায় নেই।
নড়াইল ভিশন স্যাটেলাইটের মালিক জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ঠিকাদার (মো.হাসানুজ্জামানের ভাই) মো.ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমার আপন বড় ভাইয়ের বাসায় ডাকাতি করে চলে যাওয়ার পরপরই আমাকে জানালে আমার পাজেরো গাড়ি নিয়ে সিকিউরিটিসহ ডাকাতদলকে ধাওয়া করি। কিন্তু তাদের না পেলেও কিছু লোকের সাথে দেখা হয়েছিল।’
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো.মাহমুদুর রহমান বলেন,‘খবর পেয়ে আমি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো.কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা আশা করছি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অচিরেই ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারবো। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
পরে নড়াইল জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন খান নিলু সহ সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।