স্টাফ রিপোর্টার
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ এখলাছুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি লোহাগড়া পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে এবং ওই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।তিনি স্ত্রী, ২ কণ্যা ও ৩ পুত্রসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের জেষ্ঠ্যকন্যা মহিলা কলেজের আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেলী সাহরিয়া জানান, তার পিতা এখলাছুর রহমান বার্ধক্য জনিত কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ্য ছিলেন। গত রোবিবার বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা যান। বিকালে তাকে লক্ষীপাশার আন নূর কমপ্লেক্স মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে লক্ষীপাশার পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম এখলাছুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করার পর তৎকালে গঠিত লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। পরে তিনি লোহাগড়া আদর্শ মহাবিদ্যায়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন সেখানে শিক্ষকতা করার পর লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। আজীবন শিক্ষানুরাগী এই গুনী মানুষটি ওই মহাবিদ্যালয়েরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন। তিনি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জিবি সদস্য ছিলেন।এছাড়া সামাজিক অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন। তিনি তার নিজ গ্রাম পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামে পিতার নামে ‘আব্দুল করিম প্রি ক্যাডেট স্কুল’নামে একটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।এ ছাড়া তিনি লোহাগড়ার বিভিন্ন এলাকার মসজিদ, মাদ্রসা, বৃদ্ধাশ্রমসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করেছিলেন।
এখলাছুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন লক্ষীপাশা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ,পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, সাবেক মেয়র নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর ,লোহাগড়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী ইবনে হাসান,সিনিয়র সাংবাদিক ও জেলা জাসদ সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম খান, লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় ও লোহাগড়া-লক্ষীপাশা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও জিবি সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।