স্কাউটিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আশিকুর রহমান মিকুকে “রৌপ্য ইলিশ” প্রদান

0
6
স্কাউটিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আশিকুর রহমান মিকুকে
স্কাউটিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আশিকুর রহমান মিকুকে "রৌপ্য ইলিশ" প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার

স্কাউটার আশিকুর রহমান মিকুকে স্কাউটিং কার্যক্রমে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড “রৌপ্য ইলিশ” প্রদান করেছে বাংলাদেশ স্কাউটস।

নড়াইল জেলা স্কাউটসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন দিয়ে জানিয়েছে, নড়াইল জেলার তথা দক্ষিণ বঙ্গের বিপি খ্যাত নড়াইল স্কাউটিং যাঁর হাত ধরে পথ চলা, বৃহত্তর যশোর জেলার অহংকার, অজস্র স্কাউটারদের পথিকৃত ও সর্বজন স্কাউটার আশিকুর রহমান মিকু মহোদয়কে স্কাউটিং কার্যক্রমে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটস তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড “রৌপ্য ইলিশ ” প্রদান করায় আন্তরিক অভিনন্দন।

উল্লেখ্য, আশিকুর রহমান মিকু, জন্ম ৩০/১২/১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ.তার পিতা মরহুম মুন্সী ওয়ালিউর রহমান অবিভক্ত বাংলার সাবেক সংসদ সদস্য, ও ১৯৩৪ সাল
থকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর যশোর জেলা বোর্ডের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ছাত্র জীবনে সপ্তম শ্রেণী থেকে স্কাউটিং কার্যক্রম শুরু, পরবর্তীতে কলেজ জীবনের শুরুতে স্কাউট বেসিক কোর্সে অংশগ্রহণ করেন সাফল্যের সাথে। ১৯৭৬ সালে অগ্রনী মুক্ত স্কাউট গ্রুপ নড়াইল নামে একটি স্কাউট ইউনিট গঠনসহ রেজিস্ট্রেশন করেন। ১৯৭৮ সালে উড ব্যাজ অর্জন করেন। জেলা এবং উপজেলায় কখনো জেলা স্কাউট লিডার কখনো সহকারী কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ৯ বছর জেলা স্কাউট সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

কলেজ জীবনে তিনি নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের” সিনিয়র রোভার মেট” হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। এরপর সু দীর্ঘ ২১ বছর যাবত “জেলা স্কাউট কমিশনের” দায়িত্ব পালন করেন, বর্তমান তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস নড়াইল জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার নেতৃত্বে নড়াইলে একবার খুলনা আঞ্চলিক স্কাউটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নড়াইল জেলায় কয়েকটি জেলার কাব ক্যাম্পুরি ও কয়েকটি জেলা স্কাউট সমাবেশে আর্থিক সহযোগিতা সহ পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন।

তিনি সামাজিক এবং ক্রীড়া কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি সুদীর্ঘ ৩৮ বছর এক নাগাড়ে নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোওসিয়েশনের উপ মহাসচিব হিসাবে ১৫ বছর এবং বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুদীর্ঘ ২২ বছর, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সম্পাদক, শিল্পী এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন এর দীর্ঘ ১৫ বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃত স্বরূপ ২০১১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করেন। স্কাউট এ বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পর্যায়ক্রমে মেডেল অফ মেরিট, লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, সিএন সি অ্যাওয়ার্ড, সভাপতি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন , বাংলাদেশী স্কাউট নড়াইল জেলার স্কাউট ভবন নির্মাণে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্কাউটের জন্য বরাদ্দাকৃত ২০ শত জায়গা ও স্কাউট ভবন নির্মাণের কাজ বর্তমানে চলমান আছে। তিনি এবং তার পরিবার নড়াইল জেলায় একটি আদর্শ স্কাউট পরিবার হিসেবে পরিচিত।