গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আবেদন করেও শারীরিক প্রতিবন্ধী আমেনা বেগমের (৩৯) ভাগ্যে জুটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় স্বামীহারা ওই নারী দু’সন্তান নিয়ে থাকেন অন্যের বাসায়, জীবিকা নির্বাহ করেন ঝিয়ের কাজ করে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রায় দু’বছর আগে আবেদন করা হলেও ঘর না পাওয়ার কারন জানেনা তিনি। ভূমিহীন আমেনা বেগম ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কাউরাট গ্রামে মৃত ইব্রাহিমের স্ত্রী।
আমেনা খাতুন জানান- প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ায় আশায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করেছিলেন তিনি। অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধি পর্যন্ত তার নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ঘর না থাকায় বর্তমানে তিনি দু’সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানিয়ে বলেন বলেন- ‘আপনি হাজার হাজার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। আমাকে একটি ঘর দেন। আমি আপনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করব।’
স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওয়াজিদুল ইসলাম কামাল জানান- স্বামীহারা আমেনা বেগম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রকৃত ভূমিহীন। অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে থেকে বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দু’সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। ওই দুস্থ নারীকে জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
মইলাকান্দা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান- আমেনা বেগম একজন প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে ২০২১ সালে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন তিনি। অদ্যবধি পর্যন্ত তার নামে জমিসহ ঘর বরাদ্দ না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। ওই অসহায় নারীকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন সাংবাদিকদের কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন- ‘এটা তো জানিনা, আমারতো নলেজে আসেনি। এতগুলো ফ্রেসব্রিফিং, মিটিং ও মাইকিং করলাম কেউ তো বিষয়টি তুলেনি। কেউ আমার কাছে আসেনি। এরকম যদি হয়ে থাকে তাকে আবেদন করতে বলেন। প্রকৃত ভূমিহীন হলে বরাদ্দ আসলে পাবে।’ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা।