বাঘারপাড়ায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম করলেন এক সৈনিক! মামলা!

0
9
বাঘারপাড়ায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম করলেন এক সৈনিক! মামলা!
বাঘারপাড়ায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম করলেন এক সৈনিক! মামলা!

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় এক সৈনিকের নেতৃত্বে সাবেক সার্জেন্ট রবিউল ইসলামকে (৫৩) মারপিঠ করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সৈনিক উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে ধূপখালী গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মামুন হোসেন (২৫)। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ছেলে রাসেল আহম্মেদ রাজু বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। একই গ্রামের আহত রবিউল ইসলাম যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তী আছেন। এখনো আসামীদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ও আসামীরা একই গ্রামে একই পাড়ায় বসবাস করেন। আসামীদের গাছের ডাল সার্জেন্ট রবিউলের পুকুরে পড়ে পানি নষ্ট হচ্ছিল। রবিউল কয়েকবার গাছের ডাল কাটার কথা বললেও আসামীরা সে কথা শোনেননি। গত ৩ মার্চ রবিউল ইসলাম গাছের ডাল কাটলে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ৫ মার্চ রাতে সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম ও ছেলে রাসেল আহম্মেদ রাজুকে এলোপাথাড়ী কিল ঘুষি মারে।

এ মারামারির ঘটনায় সেই রাতেই দুই পক্ষ স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে রাজী হয়। কিন্তু ৬ মার্চ সকাল ৭টায় সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম ভোগের বিলে তাঁর নিজের মাছের ঘেরে খাবার দিতে গেলে সেখানেই দেশীয় অস্ত্র (দা, লোহার রড, মটরসাইকেলের ডাম্পার) নিয়ে আসামীরা আক্রমন করে। তারা (আসামীরা) হত্যার উদ্দেশ্যে রবিউলের মাথার পিছনে, হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আসামী মামুন। একপর্যায়ে আহত রবিউলের চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হলে আসামীরা তাঁকে ধানের ক্ষেতে রেখে চলে যায়। এ সময় পাড়া প্রতিবেশীরা রবিউলকে উদ্ধার করে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। পরে মাথায় যন্ত্রণা হলে যশোরে ভর্তী করেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের ছেলে ও মামালার বাদী রাজু আহম্মেদ জানায়, আসামী মামুনদের সাথে আমাদের পূর্বের কোনো দ্বন্দ্ব ছিলো না। সে কক্সবাজার জেলায় রামু উপজেলায় সেনাবাহীনিতে সৈনিক পদে কর্মরত আছে। সেখান থেকে ছুটিতে এসে ভাইদের সাথে নিয়ে কোনো ঝগড়া ছাড়াই আমার বাবা ও আমাকে মারপিঠ করে। এরপর মাছের ঘেরে আমার বাবাকে একা পেয়ে আবারও মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। প্রথমে বাবাকে বাঘারপাড়া হাসপাতালে ভর্তী করি পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু সাহা বলেন,‘প্রথমে মারামারি হলে দুই পক্ষকে নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম। রাজিও ছিলো ওরা। কিন্তু হঠাৎ করে পরের দিন সকালেই সার্জেন্টকে মারত্মকভাবে মেরেছে। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিৎ’।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘আসামী মামুনের বিষয়ে তাঁর বিভাগকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মামলার আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে’।