স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় ৫ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে কালিয়া,নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে উপজেলার চাঁচুড়ী ও ফুলদাহ গ্রামে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রাম গুলোতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,উপজেলার চাঁচুড়ী,ফুলদাহ,কৃষ্ণপুর,চন্দ্রপুর ও দাড়িয়াঘাটা গ্রাম গুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফুলদাহ গ্রামের ফসিয়ার মোল্যা ও চাঁচুড়ী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লড়াই চলে আসছিল। তারই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফসিয়ার গ্রুপের সমর্থক সবুজ মোল্যার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি স্বশস্ত্রদল চাঁচুড়ি বাজারে ঢুকে মোস্তফার ছেলেসহ তার সমর্থক চাচুড়ি গ্রামের মুকুল মোল্যা (৪৫), মাওলানা গোলজার মোল্যা (৫০), তোফায়েল শেখ (২৫) ও আব্দুল্লাহকে (২৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাদেরকে ওই রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে ওইসব গ্রামের বিবদমান গ্রুপগুলো দুই পক্ষে যোগ দিলে বুধবার সকাল ৮টার দিকে চাচুড়ি বাজারের পাশের খালপাড়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ফুলদাহ গ্রামের বিপ্লব ফকির (৪০), রমজান বেগ (৪০), শুকুর মোল্যা (৪৫), হাবিব মোল্যা (২০), আব্দুল্লাহ (৩৫), মিল্টন মোল্যা (৩৮), মুহিদ মোল্যা (৫০), খাইরুল মোল্যা (৩৫), চাঁচুড়ী গ্রামের সাহাবুদ্দিন মোল্যা (৪০) ও রিয়াদ মৃধাসহ (৩০) অন্তত ১০ জন আহত হয়।
গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন,‘বুধবার সন্ধ্যায় কোন উস্কানি ছাড়াই ফসিয়ার মোল্যার লোকজন তার ছেলেসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। বুধবার সকালে আবার তারা তাদের ওপর হামলা করে লোকজনকে আহত করে।’
ফসিয়ার মোল্যা অভিযোগ করে বলেন,‘ বুধবার সকালে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে ৫/৬ জনকে আহত করে।’ কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।