স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার শনিবার(১৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে মহিষখোলা গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, রবিউল ইসলাম, জালাল উদ্দীন মোল্যা, রিনা বেগমসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২ জনু বিকেলে আইয়ুব সরদার, ওমর সরদার এবং ওয়াজির মোল্যার নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন লোক নড়াইলের মহিষখোলা গ্রামের নজরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম ও এনামুল হকের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে তাদের লোকজনকে মারধর করে। ঘটনার সময় সময় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের চাচাতো ভাই ইউনুস শেখসহ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। এসব ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ সিমেন্ট ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীন মোল্যা অভিযোগ করেন তার এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘর ভাঙচুর, জখমসহ বিভিন্ন অভিযোগে জোসনা বেগম বাদী হয়ে ১৮জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৮জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে অপরপক্ষের মাতুব্বর ওমর সরদার ও ওয়াজির মোল্যাসহ অভিযুক্তরা বলেন, প্রতিপক্ষ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে। টাকা, স্বর্ণালংকার, ধানসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট হয়েছে। আমাদের সাতজন লোক আহত হয়েছেন। আমরাও থানায় এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, দুইপক্ষের লোকজনই মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
