শিশু শয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন: আসামি রাজুর স্বীকারোক্তি

0
33
দুরন্ত শিশু শয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন: আসামি রাজুর স্বীকারোক্তি
দুরন্ত শিশু শয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন: আসামি রাজুর স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার

১৯জুলাই রাত ৮টার দিকে দুরন্ত শিশু শয়ন একই এলাকার রাজুর চা-এর দোকান থেকে ১০টাকার এক প্যাকেট চানাচুর নিয়ে দৌড় দেয়। রাজুও শয়নকে ধরতে পিছু পিছু দৌঁড় দিলে পাশর্^বর্তী নিধিখোলা প্রাইমারী স্কুলে বারান্দার কাছে শয়নকে নিয়ে পড়ে যায়। এ ঘটনায় শয়নের মাথা স্কুলের সিঁড়ির সাথে আঘাত লেগে ভীষণ রক্তক্ষরণ হলে ভয় পেয়ে যায় রাজু। এ সময় অচেতন শয়নকে ঘাড়ে করে পাশ^বর্তী একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় থাকে। এক পর্যায়ে সে চিন্তা করে শয়ন বেঁচে থাকলে এ ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এই চিন্তা করে রাজু শয়নের বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে একটি গামছা দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় শয়নের দেহ নড়াচড়া দিয়ে উঠলে তালগাছের ডগা দিয়ে শয়নের মাথা ও মুখে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

নির্মম এ হত্যান্ডের শিকার সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা গ্রামের ১৪ বছরের শিশু শয়ন শেখ। এ মামলার প্রধান আসামি রাজু মোল্যা (২৭) সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিন-এর আদালতে ১৬৪ ধারায় শয়নকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার রাতে (৩০ জুলাই) পুলিশ নিধিখোলা গ্রামের ইলিয়াছ মোল্যার ছেলে আসামি রাজু মোল্যাকে (২৭) পার্শ্ববর্তী পাইকমারী স্কুলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, নিধিখোলা গ্রামের নাজমুল শেখের ছেলে শয়ন দারিদ্রতার কারনে কখনো ইজিভ্যান আবার কখনো ঘোড়ার গাড়ি চালাতো। আসামি রাজু মোল্যার নিধিখোলা প্রাইমারী স্কুলের পাশে চায়ের দোকান রয়েছে। চা দোকানি রাজু নিহত শয়নের কাছে প্রায় ৫শ টাকা পেতো। ২০ জুলাই নিধিখোলা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে শয়নের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়।

মামলার বাদি শিশুটির পিতা নাজমুল শেখ তার সন্তান হত্যার আসামির ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুনের সঠিক নির্দেশনায় শিশু শয়ন হত্যাকান্ডের আসামি গ্রেফতার ও হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। পরে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে শয়নকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।