স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সসম্মানার্থে প্রতীকী চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। যেটা নড়াইল জেলার প্রতিটি থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে বলে পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন জানান। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ৫টি প্রতিকী চেয়ারে জেলার ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বসিয়ে একথা বলেন পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) তারেক আল মেহেদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএ বাকী,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবর রহমান, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওবাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, নড়াইল জেলা পুলিশের সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যেটা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে পেলাম। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ ০৪ টি থানায় বসার জন্য চেয়ার সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি শুধু চেয়ার নয় বা বসার ব্যবস্থা নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য একটি নজির বিহীন আয়োজন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি সারা দেশের জন্য একটি বার্তা হবে বলে মনে করি। পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ এই আয়োজন করেছি। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার ক্ষেত্রে নড়াইল দ্বিতীয়। এবং নড়াইল জেলার প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “ক্রীড়া সংস্কৃতি মুক্তিযুদ্ধ” চিত্রার কোলে নড়াইল সমৃদ্ধ”।
তিনি আরো বলেন, নড়াইল জেলা পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে প্রথম থেকেই এসে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীর বীর সন্তানদের সম্মান দেখানো এটা আমাদের জন্য কর্তব্য মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা যে চেতনা নিয়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীন করে দিয়েছিলেন তাদেরকে সম্মান দেখানো এটা আমাদের কর্তব্যের একটি পার্ট। আমার কাছে মনে হলো এই চেয়ারটা হয়তো প্রতীকী চেয়ার। আমি পুলিশ অফিসে রাখছি। চার থানাতে রাখছি। এই চেয়ারটা দেখে হয়তো অনেকে অনুপ্রানীত হবে যে আমাদের বীর সন্তানদের সম্মান দেখাতে হয়। যেমন পুলিশ এটা লালন করবে তেমন সেবা প্রত্যাশিরা যারা আসবে তারা এটা দেখে বুঝবে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হয়। এটা মুলত ভালবেসে শ্রদ্ধা থেকে সম্মান থেকে আমরা এ কাজটা করতে চেয়েছি। এটা শুধু তাদের জন্য আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। এটা শ্রদ্ধারই একটা অংশ।