নিজামুল হক বিপুল
আজ থেকে চার দশক আগেও বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে জানতো এবং চিনতো পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ আর দাতা সংস্থার সাহায্য নিয়েই চলতো বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচিতি ছিলো হতদরিদ্র, গরিব রাষ্ট্র হিসেবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা ছিলো না। আর্থিক অবস্থা ছিলো একেবারেই দিনহীন। ছিলো না উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশি কিংবা বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সে তো অনেক দূরের বিষয়। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না।
সেই দরিদ্র, ভঙ্গুর অর্থনীতির রাষ্ট্র বাংলাদেশের চেহারা আমূল পাল্টে গেছে গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশের পরিচিতি একটি উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের চোখে বাংলাদেশ এখন আর আগের বাংলাদেশ নেই। এটি আগামী দেড় দশক পর অর্থাৎ ২০৪০ সালে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যে পাল্লা দিয়ে ছুটছে প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলোর দিকে। এ কারণে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর চোখ এখন ৫৫ হাজার বর্গ মাইলের ব-দ্বীপের দিকে। চীন, ভারত, জাপান, সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আর এ দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে চীন।
এই যে মাত্র এক দশক সময়ে বাংলাদেশের চেহারাটা পাল্টে গেলো, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের উত্তম স্থান হিসেবে বেছে নিচ্ছে এবং নিলো তার নেপথ্যের কারিগর কিন্তু একজন। আপনি মানেন বা না মানেন স্বীকার করেন বা না করেন- তাতে কিছু যায় আসে না। সত্যটা হচ্ছে- গত এক দশকের বেশি সময়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে টেনে নিয়েছেন যিনি তিনি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী টানা তিনবার সহ চার বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই আজ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ।
গত এক দশকের বেশি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় উন্নতি করেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ক সামিয়িকী দি ইকোনমিষ্টের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ‘ইকোনমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআরইইউ) ‘ এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০৪০ এর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বাজারের আকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনাময় কিছু খাতের ওপর ভিত্তি করে ইআরইইউ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য পছন্দের গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ।
চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় তার একটা তালিকা তৈরি করে ইআরইইউ বলেছে, তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। অথচ ২০১৩ সালেও এই অবস্থান ছিল ৫২তম। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
ইআরইইউ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্য-প্রযুক্তিসেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গাড়ি শিল্প। প্রতিবেদন অনুযায়ি বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যের দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশের আগে আছে ইন্দোনেশিয়া। আর পরের দিকে আছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিশর, ভারত ও তানজানিয়া। আর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে ঝুঁকি কম এবং সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেই সূচকে সবার উপরে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের পরে রয়েছে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব গন্তব্য দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরা এখন এই বাজার ধরতে চান। ইআরইইউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠির আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
ইআরইইউ এর এই প্রতিবেদন বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ কতোটা গিয়েছে এবং কতোটা সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।
একটা দেশের উন্নয়নে বা উন্নতীতে নেতৃত্ব যে একটা বড় বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর প্রায় ৩০ বছর বাংলাদেশে পরিচালিত হয়েছিল ছিলো সামরিক শাসন আর স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতৃত্বে। এই সময়টায় বাংলাদেশকে সব সময় দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত করে তোলা হয়েছিল গোটা বিশ্বে। যার ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
কিন্তু গত প্রায় দেড় দশক ধরে দেশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য, বিচক্ষণ ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব মানচিত্রে নতুন পরিচয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি সমৃদ্ধ, সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ কারণে আজ বিনিয়োগকারীরা ছুটে আসছেন বাংলাদেশে।
শুধু যে বিনিয়োগকারীরাই আসছেন তা নয়। বিশ্ব নেতাদেরও আগমন ঘটছে বাংলাদেশে। তেমনি ব্রিকস-এর মত শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ পেয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের নয়া দিল্লীতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও বাংলাদেশ ছিল আমন্ত্রিত। শুধু আমন্ত্রিতই নয় সম্মেলনে প্রায় সব অধিবেশনেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকও করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক দেশের নেতারা এসছেন। সর্বশেষ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঘুরে গেছেন। রবিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এ্যামানুয়েল ম্যাক্রো দুই দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
বিশ্ব নেতাদের এই সফর জিও পলিটিক্সে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়ছে। আর ইন্দোপ্যাসিফিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে বাংলাদেশের অবস্থানও নিরপেক্ষ। বাংলাদেশ সরাসরি কোন ব্লকের সাথে সংযুক্ত নেই। এ কারণে যেমন চাপে আছে বাংলাদেশ, তেমনি সবার লক্ষ্যবস্তুতেও পরিণত হয়েছে।
ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে গত ২৯ আগস্ট “হিন্দুস্থান টাইমস” লিখেছে “দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিরতা এবং আঞ্চলিক উগ্রবাদীতা প্রশমনে শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। যারা শেখ হাসিনার উপর অনভিপ্রেত চাপ দেয়ার চেষ্টা করে আসলে তারা এই ইন্দো প্যাসিফিকের শান্তিকে বিনষ্ট করতে চায়”।
শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে আসা, আমেরিকার ভিসা স্যাংশন নীতি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চাপ, মার্কিন সিনেটরদের বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চিঠি, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করার এতো চাপ সত্ত্বেও কোন কিছু থেকেই পিচিয়ে যায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ পররাষ্ট্রনীতিতে অনড় রয়েছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে সকল বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা দিয়ে। তাঁর এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভারভ।
তিনি বলেছেন “যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের বন্ধুরা বিদেশি শক্তিকে মোকাবিলা করে নিজেদের জাতীয় স্বার্থে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখেছে, যা প্রশংসার দাবী রাখে”। একই কথা বলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং।
বিশ্বনেতারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইলেও, তারা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগি হিসেবে শেখ হাসিনাকেই চাইছেন। গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে একটা জরিপ পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান এসোসিয়েশন নামে একটি আমেরিকান সংস্থা। তাদের জরিপেও উঠে আসে বিষয়টি, সরকারের অনেক কর্মকান্ড বিশেষ করে দুর্নীতি আর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সমালোচনা করলেও ৯০শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার হাতেই নেতৃত্ব দেখতে চায়। শেখ হাসিনা শুধু নিজ দেশ বা আঞ্চলিক গন্ডিতেই না, উনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে একজন প্রভাবশালী নেতা হয়ে উঠেছেন।
শেষ করতে চাই কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক জসিম মল্লিক এর একটা ফেসবুক স্ঠ্যাটাস দিয়ে। রবিবার তিনি একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘অন্য জাতির লোকরা কখনও বাংলাদেশ নিয়ে নাক সিঁটকায় না যতটা আমরা নিজেরা সিঁটকাই। আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করি। বিদেশে এসে দেশের বদনাম করি। দল করি। মিছিল মিটিং করি, মারপিট ঝগড়া ঝাটি করি। এই যে দেশ বিদেশে এক দেড় কোটি বাঙালি ছড়িয়ে আছে, মাথা উঁচু করে টিকে আছে সেটা কিভাবে হয়েছে! বাংলাদেশে নামটা এখন সবাই চেনে। সম্মান করে। ওয়েষ্ট আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাচোর লোকেরাও জানে বাংলা নামের একটা দেশ আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে চেনে। শেখ হাসিনাকে চেনে। একজন মুজিব জন্মেছিলেন বলেই আমরা সবুজ পাসপোর্ট পেয়েছিলাম। তা না হলে আমরা থাকতাম পাকিস্তানীদের বুটের তলায়। আমাদের মতো অকৃতজ্ঞও পৃথিবীতে সম্ভবত দ্বিতীয়টি নাই। যার বা যাদের জন্যই করবেন দেখবেন তারাই চোখ উল্টে ফেলবে। যেনো এটাই নিয়ম। সেটা কি সংসারে, কি রাষ্ট্রে। আমি সারাজীবন যাদের জন্য করেছি তারা কেউই সেসব মনে রাখেনি। নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধও নাই। কেউ কেউ মনে করে পাওয়াটা তাদের অধিকার। প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে চিনতেও কষ্ট হয়। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়। যেমন শেখ হাসিনা যে এতো করছেন এই দেশের জন্য তারপরও কিছু লোকের সেটা চোখে পড়ে না। ভাল লাগে না। কৃতঘ্ন বলেই বঙ্গবন্ধুকে সপারিবারে হত্যা করতে পারে। আচ্ছা শেখ হাসিনার অপরাধটা কোথায় যে জন্য তাঁকে টেনে হিচরে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে!’’