স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় পৌর পিতা ও শহর বাজার কমিটির সভাপতির আহ্বানে ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে। রোববার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলা পৌর কমিউনিটি সেন্টারে পৌর মেয়র মো.ওয়াহিদুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পৌর প্রশাসন বা মেয়র ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে ইউএনও-এসি ল্যান্ডের অপসারণের দাবি করেন ভূক্তভোগীরা।
জানা যায়, অতিসম্প্রতি কালিয়া পৌর শহরের বাজারের চান্দি নিলামে বিক্রী করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির সদস্য ছিলেন কালিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন। একইস্থানে চান্দি পূণনির্মাণের জন্য ওয়ার্ড ব্যাংকের অর্থায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ চান্দির টেন্টার আহবান করেন। যথারীতি চান্দির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি ঠিকাদার শুরু করেন। কালিয়ার ইউএনও রুনু সাহা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক শ্রমিককে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে আটক করে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে পৌরবাসীসহ বাজারের ব্যবসায়ী মহল ফুঁসে উঠে। তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদ সরুপ পৌর মেয়রসহ ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয়রা বাজার বন্ধ করার প্রস্তুতি নেন। এ সময় নড়াইল-১আসনের এমপি করিরুল হক মুক্তির হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সঙ্গে পৌর প্রশাসন ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার বিকালে পৌর মেয়র ও শহর বাজার কমিটির সভাপতি মো.ওয়াহিদুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে দক্ষিন বাজারের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সঞ্চারনায় বক্তব্য রাখেন,উত্তর বাজার কমিটির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর অশোক কুমার ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক খালিদ মাহমুদ,দক্ষিন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক গুরুদাশ স্বর্ণকার, সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ, পৌর কাউন্সিলর সবুর শেখ,আসলাম ভূইয়া,প্রদীপ বর্মন ও মুজিবর রহমান সরদার প্রমূখ।
পৌর মেয়র ও অধিকাংশ বক্তারা বলেন,‘ইউএনও ও এসিল্যান্ডের বেআইনী কর্মকান্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন। সরকার তথা পৌরসভার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে তাঁরা উদ্দেশ্য মূলক বাধার সৃষ্টি করছে। অপরদিকে সরকারী কর্মকর্তা হয়ে সরকারের ভাবমূর্ত্তী ক্ষুন্ন করছেন। মেয়র জানান,স্থানীয় এমপির অনুরোধে আপাতত সকল কর্মসূচী স্থগিত রাখা হয়েছে। অপরদিকে ভবিষ্যতে অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে তাঁরা যদি নিবৃত না হয়,তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সরুপ বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে কঠিক কর্মসুচী দেয়া হবে। একই সঙ্গে ইউএনও-এসি ল্যান্ডের অপসারণের দাবি করেন ভূক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে কালিয়ার ইউএনও রুনু সাহা সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে যুগান্তরকে বলেন,‘ঠিকাদার বা পৌর কর্তৃপক্ষ ভুমি মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র বা অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। বিধায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছি।’ এ বিষয় কালিয়ার এসিল্যান্ড প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন,‘ঠিকাদারের শ্রমিককে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা শোনেনি তাই ইউএনও মহোদয় ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।’