স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল স্বামী এবাদুল শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী স্ত্রী আমেনা খাতুনকে(৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। গত ১২ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল পৌরসভার মাছিমদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আমেনা খাতুন কালিয়া উপজেলার আমতলা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক ফকিরের মেয়ে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ১৩/১৪ বছর আগে ইবাদুল শেখের সঙ্গে আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ইবাদুল পেশায় ভ্যান চালক হওয়ায় সংসারে অভাব অনটন নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতো। এবাদুলের নিজের বাড়ি ও শশুর বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে হওয়ায় আমেনা খাতুন প্রায় তার পিতার বাড়িতে চলে যেত।
২০২০ সালের ৯ মে সাংসারিক দ্বন্দ্বের কারনে আমেনা খাতুন তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার দিন রাতে ইবাদুল তার স্ত্রীকে ফেরত আনতে শশুর বাড়ি আমতলা গ্রামে যায়। পরের দিন সকালে শশুর বাড়ির পাশে বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ইবাদুলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ইবাদুলকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার এক মাস পর ২০২০ সালের ৮ জুন এবাদুলের পিতা সবুর শেখ বাদী হয়ে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আসামী আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় সম্প্রতি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার আগে থেকেই আসামী আমেনা খাতুন পলাতক ছিলেন। গ্রেফতারে পর গত ১৩ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।