স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রাম থেকে একাধিক মানব পাচার মামলার প্রধান আসামি ও এ চক্রের মূলহোতা মো.শাকিল হোসেনকে (৩৭) গ্রেফতার করে শুক্রবার (৮ডিসেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এরপর শনিবার (৯ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত রিমান্ডের আবেদন গ্রহণ করেছেন। পরে শুনানির দিন ধার্য করা হবে। এরপর রিমান্ডের আদেশ পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়,উপজেলার কদমতলা গ্রামের খাজা মিয়া শেখের মেয়ে মিতা খানম নামের এক নারীকে ফ্রান্সে নেয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে পাচারের অভিযোগে গত ৬ ডিসেম্বর হরিণটানা থানায় ৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন তার পিতা খাজা মিয়া শেখ। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-রাজিবুল ইসলাম রাজিব,রাকিবুল ইসলাম রাতুল,মমিনুল ইসলাম সাগর ও পিয়ারী বেগম। এদের মধ্যে মূলহোতা শাকিল হোসেনকে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে খুলনার হরিণটানা থানার এস.আই মো.রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কালিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় ফোন কল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামি মো.শাকিল হোসেন চাঁচুড়ী গ্রামের মৃত.ছাব্বির রহমান ওরফে মনু মোল্যার ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মানব পাচারসহ একাধিক ফৌজদারী মামলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,উক্ত আসামি দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। তিনি সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে গ্রামের সহজ-সরল নিরীহ অসংখ্য সুন্দরী নারীসহ বিভিন্ন মানুষদের উচ্চ বেতনে বিদেশ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নগদ টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে ভারত,মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিক্রি করে দেয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মানব পাচারের মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,‘ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার,এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতের বিচারকের কাছে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেবেন বলে জানান তিনি।’