মোঃ সোলায়মান আলম
মাধাভানের ভানরাজের চরিত্রে অজয়ের অভিনয় করার কথা ছিল। নেতিবাচক চরিত্রে অজয়ের তুলনা নেই। খাকি, দিওয়ানগি সিনেমায় অজয়ের ‘এন্টিহিরো’ রোল প্লেইং এক অন্যরকম চিহ্ন রেখে গিয়েছে। অজয়কে ভিলেন ভূমিকায় দেখতে দর্শকদের কোন আপত্তি থাকার কথা না। একে নিজের প্রোডাকশনের সিনেমা, অন্যদিকে নিজের সিদ্ধান্ত থেকেই কেন জানি সাধারণ বাবা কবির ঋষি চরিত্রটি করার স্বাদ জাগলো তার। বলিউডের তারকারা মনে হয় সম্প্রতি কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রোটাগনিস্ট থেকে সরে গেলে হয়তো জনপ্রিয়তা খোয়াবে! অজয়কে একথা দিয়ে আটকানো সম্ভব না। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক সে। তার চাহনি, সংলাপ, চরিত্রের মূল্যায়ন একেবারেই অনন্য।
এদিকে মাধাভানের মেধার কথা না বললেই না। চকোলেট হিরো যে কবে ম্যাচুর হয়ে গেল! এমনই হয়। ভিখরাম ভেদা, রেইল ওয়ে ম্যান, তানু ওয়েডস মানু। নিজের স্টাইলেই পথ চলছে। সত্যকথা শায়তানের ট্রেইলারে Never liked Madhavan as a Villain when you have Ajay। সিনেমাটি দেখার পর বলতেই হবে মাধাভান চরিত্রটির সঠিক মূল্যায়ন করেছে। যেহেতু ফিকশন, সেহেতু ভানরাজের একাধিক রূপ দিতে পারতেন পরিচালক বিকাশ বাহল। যাই হোক মোট কথা বিনোদনের জন্য এই ভৌতিক থ্রিলার অনেকের পছন্দ হতে পারে। সূত্র অনুযায়ী ৬০-৬৫ কোটি রূপির সিনেমা এপর্যন্ত ২১১ কোটি রূপি সংগ্রহ করেছে।
স্পয়লারঃ সৃষ্টিকে অপূর্ণ/ত্রুটিপূর্ণ বলার যে অভিযোগ ভানরাজ করার চেষ্টা করেছে সেটাকে ধর্মীয় কারণে নাকোচ করতে বাধ্য হচ্ছি। পরিচালক যদি সৃষ্টির অপূর্ণতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চান, তাহলে আপত্তি আছে। বিষয়টি যদি ভানরাজের মতাদর্শের অর্থহীনতা বোঝানোর জন্য রেখে থাকেন তাহলে সেটি অন্যরকম হতে পারে। দ্বিতীয় অসম্মতি আসে, যখন কাবির প্রতিটা বাবাকে এক ধরণের ভগবানের সাথে তুলনা করে থাকে। ভগবান নিয়ে পরিচালকের কন্সেপ্ট কী? ইনশাআল্লাহ বুঝতে পারি স্ক্রিপ্টিং এর সময় ভালো ওয়াসওয়াসা এসেছে। পরিশেষে, কালো জাদু’র সত্যতা কতখানি একথা কোন ধর্মবিশ্বাসী মানুষই বলতে পারে। আমার ধর্মে এর শাস্তি হ/ত্যাদন্ড যদি সে অনুশীলনকারী তওবা না করে।