ডেস্ক রিপোর্ট
‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭ এপ্রিল সিডনির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। নারী নেতৃত্বের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া এই পুরস্কার গ্রহণের পর নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে একটি নতুন জোট গঠনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে এক নারী নেতৃত্ব সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ১৫শ’ নারী নেতাদের করতালির মাঝে গ্লোবাল সামিট অব উইমেনের প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করে বলেন, “আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি বিশ্বের নারীদের; যারা পরিবর্তনের চেষ্টায় নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে চলেছে।”
স্বাধীনতার পর থেকে নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেসব তথ্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “নারীর ক্ষমতায়নের বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।”
২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে এ দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ১৫৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে নৈশভোজের পর তার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয় সম্মেলনে। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, “গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি।” অস্ট্রেলিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকেও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।