নিউজ ডেস্ক
সড়ক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুতে তার পরিবারকে এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আদালতে স্বজন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল রিটের পক্ষে ছিলেন।
গত ২৩ জুন দুই মাসের মধ্যে বিটিআরসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে ২৫ লাখ টাকা করে রাজীবের দুই ভাইকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। তার ধারাবাহিকতায় রবিবার আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে স্বজন পরিবহনের আইনজীবী জানান, এক মাসের মধ্যে আগে ১০ লাখ টাকা রাজীবের পরিবারকে পরিশোধ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে লিভ টু আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিকে বিআরটিসির ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিও দেখবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাস চাপায় হাত হা*রান রাজীব হাসান। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত ক*নুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছি*ন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়।
৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন। রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজীব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে হাইকোর্ট রাজীবের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি।