ডেস্ক রিপোর্ট
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় হলি আর্টিজানে জ’ঙ্গি হাম’লা মামলায় গ্রেফতারকৃত আট আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এই রায় দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির)। অন্যদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রি’জন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামীদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। মামলায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে নব্য জেএমবির জ’ঙ্গিরা গ’লাকে’টে ও গু’লি চালিয়ে হ’ত্যা করে। হাম’লা ঘটনার সময় জ’ঙ্গিদের প্রতিহ’ত করতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমা’ন্ডো অভিযানে হা’মলাকারী পাঁচ জন মারা যায়। তারা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, নব্য জেএমবি ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় হাম’লা চালিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে এই হাম’লার ছক সাজানো হয়। পুলিশের কা’উন্টার টের’রিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রা’ইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই হা’মলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরু’দ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বাকিরা বিশেষ অভিযানে মারা পড়ে। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরু’দ্ধে অভিযোগ গঠনের হয়। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার দাসের জবানবন্দি নেয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়।