স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের মধুমতি নদী দখল করে কারেন্ট জালের সাহায্যে জাটকা মাছ নিধনের জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ ধরার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে বাঁশের বেড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন যেকোনো সময় কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধন শুরু হবে। একদিকে অবৈধভাবে নদীর এপার ওপার দখল করে মাছ ধরার জন্য বাঁশের বেড়া দেওয়ায় এ স্থান দিয়ে বড় কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। অন্যদিকে মিষ্টি পানির মাছের ভান্ডার বলে খ্যাত মধুমতির নদীর দেশী মাছের উৎপাদন মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ও শালনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মধুমতি নদীতে প্রতি বছর একটি প্রভাবশালী মহল নদীর এপার ওপার দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে জাটকা মাছ নিধন করে। বিভিন্ন সময় মৎস অফিস এবং প্রশাসন এসব বেড়া ভেঙ্গে দিলেও আবার চক্রটি এ পদ্ধতিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জয়পুর ইউনিয়নের চাচই এলাকায় মাছ ধরার জন্য মধুমতি নদীর এপার ওপার ব্লক করে বেঁড়া দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন কারা এ বেঁড়া দিয়েছে তা তারা জানেননা।
এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি জানেননা। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। স্থানীয় চাচই গ্রামের বাসিন্দা লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইচ-চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেননা। জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
লোহাগড়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা দ্বীন ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি জানার পর মৎস অফিসের প্রতিনিধি ঘটনা¯’লে পরিদর্শন করে বেড়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে এসেছে। এরপরও যদি তারা বেড়া সরিয়ে না নেয় তাহলে আমরা মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাছ শিকারিরা এখনও জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু করেনি বলে তিনি জানান।