ডেস্ক রিপোর্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে আদালত। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ (রোববার) এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে সাভারের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছে আদালত। আদালতে নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি,এম ইলিয়াস কচি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেয় আদালত। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে ১৫ মে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি কর্পোরেশনের সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রিটের পক্ষে আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। তখন বিষয়টি নিয়ে এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।