স্টাফ রিপোর্টার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে প্রবাসী যারা নড়াইলে নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন তাদের একটি বড় অংশই পর্যক্ষেণের বাইরে রয়ে গেছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানছেন না। ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ছে।
নড়াইল পৌরসভার দক্ষিন নড়াইল এলাকায় সম্প্রতি এক যুবক চীন থেকে নিজ এলাকায় এসেছে। প্রশাসন থেকে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও সে তা মানছেন না।
এ ব্যাপারে নড়াইল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহসান হাবিব তুফান জানান, ওই ছেলেকে আমি নিজে ৪০ দিন বাড়ির মধ্যে একাকি থাকার নির্দেশ দিয়েছি। শুনেছি সে এটা ঠিকমতো মানছে না। তবে এরপর সে বাড়ির বাইরে বের হলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেব।
নড়াইলের সিভিল সার্জন মোঃ আব্দুল মোমেন বলেন, এ পযংন্ত নড়াইল সদরে ২জন এবং কালিয়ায় ১জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। তারা ভালো আছে। করোনা ভাইরাসের কোনো প্রকার লক্ষন নেই। কারা বিদেশ থেকে আসছে এ তথ্য জানার ক্ষেত্রে কিছু টা দুর্বলতা রয়েছে জানিয়ে বলেন এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে মন্তব্য করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদেও জন্য সদর হাসপাতালে ১০টি, কালিয়া উপজেলা হাসপাতালে ৫টি এবং লোহাগড়া হাসপাতালে ৫টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ১টি মেডিকেল টিম, ১টি র্যাপিড রেসপন্স টিম, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি কন্ট্রোল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালের হট লাইন (০১৭৩০-৩২৪৮০১) নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং করোনা শনাক্তের জন্য আইইডিসিআর-এর মাধ্যমে হট লাইনের মাধ্যমে স্যাম্পল কালেকশানের ব্যবস্থা রয়েছে। নড়াইলে করোনা পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার, শনাক্তের জন্য কিটস এবং জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য কোনো আইসিইউ-এর ব্যবস্থা নেই।