ডেস্ক রিপোর্ট
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফর করলেন। এবারের সফরেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সোম ও মঙ্গলবার কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর দালিয়ানে এ সফর করেন কিম জং উন। কিমের সফর শেষ হওয়ার পরই কেবল এই সফরের খবর প্রকাশ করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা চীন সফর করলেন। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আগেও মার্চে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার এ শীর্ষ নেতা।
তীব্র কূটনৈতিক উম্মত্ততার পর গত মার্চে বেইজিং সফর করেন কিম জং উন। ২০১১ সালে দেশটির ক্ষমতায় আসার পর সেটিই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। গত ২৭ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করতে দুই কোরিয়ার সীমান্তের যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজম পেরিয়ে দক্ষিণে প্রবেশ করেন কিম জং উন। ওই বৈঠকে কোরীয় দ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার করেন উত্তর কোরিয়ার এ প্রেসিডেন্ট।
শি জিনপিং-কিমের বৈঠকের ব্যাপারে সিনহুয়া ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, তিনি বন্ধু শি জিনপিংয়ের জন্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কথা বলবেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘তাদের প্রাথমিক আলোচনার বিষয় হবে বাণিজ্য, যাতে ভালো কিছু ঘটবে। এবং আলোচনায় উত্তর কোরিয়াও থাকবে যেখানে বিশ্বাস এবং সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।’
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক নতুন একটি উচ্চতায় পৌঁছানোয় কিম ‘অত্যন্ত খুশি’ হয়েছেন এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি পরিবর্তনে উত্তর কোরিয়া চীনকে আরও সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে। কিমের সফরসঙ্গী হিসেবে তার বোনা কিম ইয়ো জংও দালিয়ানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
Pic: REUTERS