স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। রোববার (২২মার্চ) বিকেল পর্যন্ত জেলায় কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ছিল ২০১জন। এর মধ্যে সদরে ৫৫, কালিয়ায় ৬৪ এবং লোহাগড়ায় ২১জন রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন-এ যুক্ত হয়েছেন ৫৮জন। শনিবার এর সংখ্যা ১৪৩, শুক্রবার ১০৯ জন, বৃহস্পতিবার ৭২জন এবং বুধবারে ছিল মাত্র ২০জন। এ পর্যন্ত ১৯জন কোয়ারেন্টিনমুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বাড়লেও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। নড়াইল শহরে অধিকাংশই প্রবাসি এখন হোম কোয়ারেন্টেন মানলেও গ্রামে তা মানা হচ্ছে না। ফলে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা হাট-বাজারে এসে স্বজনদের সাথে দেখা করছেন, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন, আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতেও যাচ্ছেন। কেউ কেউ বিয়ের জন্য কনে দেখে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, গত দু’দিন পূর্বে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তি সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের বাশভিটা গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিকের তথ্য নিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। গত বুধবার কালিয়ার বাকা গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী দেশে এসে বিয়ের জন্য কনে দেখে চলেছেন। একই এলাকার আরেকজন ভারত থেকে ফিরে আসলেও সে স্কুল মাঠ দিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। সদরের নাওরা গ্রামের ১ ব্যক্তি ১১ মার্চ ওমান থেকে বাড়ি ফিরে এলেও তিনি মাঠে কাজ করছেন। কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। এসব ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিমান বন্দর থেকে জ্বর পরীক্ষা করলেও হোম কোয়ারেন্টেন এর ব্যাপারে কোন পরামর্শ দেয়া হয়নি।
এদিকে করোনা বিষয়ে সতর্কতা মূলক প্রচারনা ও মাইকিং এর জন্য গত ২০ মার্চ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও কয়েক এলাকায় মাইকিং প্রচারণার কোন খবর পাওয়া যায়নি। কালিয়া উপজেলা, কালিয়া পৌরসভা ও নড়াগাতি থানার বাজার এলাকায় কোন প্রচারণা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তবে লোহাগড়া উপজেলার কয়েকটি স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের সুপার ডা.আব্দুস সাকুর জানান শনিবার (২১ মার্চ) সদর হাসপাতালে চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত পিপিই পৌছেছে ৫০ টির মতো সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, কালিয়া ও লোহাগড়া হাসপাতালের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫টি পিপিই পৌছেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে সদর হাসপাতালে ১০, কালিয়া ও লোহাগড়ায় ৫ টি করে মোট ২০ টি বেডের আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া নার্সিং কলেজ ও টিটিসি তে প্রয়োজন মতো আইসুলেশন ইউনিট খোলা হবে।