স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের শেখাটি ইউনিয়নের সম্পূর্ণ এবং পার্শ্ববর্তী তুলারামপুর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম সেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। এসব গ্রামের প্রবেশ মুখে বাঁশ ও কাঠের গুড়ি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে সেখানে পালাক্রম পাহারা বসানো হয়েছে। বাইরে থেকে কেউ গেলে তাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করানো হচ্ছে। জেলার বাইরে থেকে কেউ গেলে তাকে ১৪দিন হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করানো হচ্ছে এবং চিকিৎসক-নার্সসহ জরুরি প্রয়োজনে কেউ বাড়িতে ফিরে গেলে তাকে আর ওই দিন বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়টিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনীতিবিদগণ স্বাগত জানিয়েছেন।
শেখাটি ও তুলারামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনগন জানিয়েছেন, শেখাটি ইউনিয়নের শেখাটি, মালিহাট, বাকলি, হাতিয়াড়া, গোয়াখোলা, দেবভোগ, তপনবাগ ও আফরা এবং তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি, তুলারামপুর দক্ষিণপাড়া ও চরপাড়া, চাচড়া-বামনহাট ও মালিডাঙ্গা সেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে সেভ দ্য ১১খান (১১টি গ্রাম) কোভিড-১৯ নামে একটি সংগঠন ও স্থানীয় যুবক সম্প্রদায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেভ দ্য ১১খান কোভিড-১৯ নামে একটি সংগঠনের বিলাস সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সবুজ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ১১টি গ্রামে প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে ২ ঘন্টা পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে। নিজ নিজ গ্রামে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বাজার বসছে। তাদের গ্রামগুলো মাছ, সবজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় সয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় তাদের অন্য হাট-বাজারে না গেলেও চলছে। সকাল থেকে ২টা পর্যন্ত দোকান খোলা। এরপর ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ।
শেখাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ বলেন, স্থানীয়ভাবে সেচ্ছায় এ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পাহারা বসানো হয়েছে। স্থানীয় চৌকিদাররাও তদারকি করছে। স্থানীয় শেখাটি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশও মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী তুলারামপুর ইউনিযনের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ বুলবুল আহম্মেদ বলেন, শেখাটি ইউনিয়নের মতো তুলারামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামও সেচ্ছায় এ লকডাউন করা হয়েছে। তবে এর ফলে জমি, ক্ষেত, মাছের ঘের ও অন্যান্য জরুরি কাজে যেন কারো কোনো ক্ষতি না হয় সেটা দেখতে হবে।
শেখাটি ফাঁড়ি ইনচার্জ এস.আই আলিম বলেন, ও*ষুধ ও জরুরি পণ্য ছাড়া তেমন কোনো বাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া বাইরের কোনো জেলার ব্যক্তি এসব এলাকায় প্রবেশ করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজন হলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।