ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আ*তংকের জনপদ!

30
31
ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আ*তংকের জনপদ!
ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আ*তংকের জনপদ!

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর কাইয়ুম সিকদার খু*নের জে*র ধরে কলাবাড়িয়া এলাকা এখন আ*তং*কের জনপদে পরিণত হয়েছে। ওই ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া, বিলাফোর, মুলখানা ও কালিনগর এ চার গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর ভাং*চু*র, লু*টপা*ট ও কয়েকটি বাড়িতে অ*গ্নিসং*যোগের ঘটনা ঘটেছে।

ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা
ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা

প্রতিপ*ক্ষ পরিবারগুলোর দেড় শতাধিক বাড়িঘরে না*রকীয় ধ্বং*সয*জ্ঞ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপ*ক্ষের ওপর হা*মলা ও হু*মকিরমুখে আ*তং*কিত মানুষের গ্রাম ছা*ড়া অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় থানা পুলিশের দাবি পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রতি*পক্ষের বাড়িতে চালানো হয়েছে ধ্বং*সের তা*ণ্ডবলী*লা। ভু*ক্তভো*গীদের অভিযোগ, স*ন্ত্রা*সের ভ*য়াল থাবায় সবকিছু এভাবে ত*ছন*ছ ও ল*ণ্ডভ*ণ্ড হয়ে গেছে। এলাকার অধি*পত্য বিস্তার নিয়ে কলাবাড়িয়া এলাকার আঃ সবুর ফকির ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর কাইয়ুম সিকদার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব*ন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্ব*ন্দ্বের কারণে ইতোপূর্বে ওই এলাকার কটাই নামের একজন খু*ন হন। কটাই খু*নের প্রধান আসা*মী ছিলেন নিহ*ত কাইয়ুম সিকদার।

ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আ*তংকের জনপদ!
ইউপি সদস্য কাইয়ুম হ*ত্যাঃ নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আ*তংক

গত ২৬মে কালিয়া থেকে মোটর সাইকেল যোগে কলাবাড়িয়া ফেরার পথে কালিনগর এলাকায় দু*র্বৃত্তের হা*মলায় কাইয়ুম সিকদার খু*নের জে*রে তার পক্ষের লোকজনের না*রকীয় তা*ণ্ডবে দু’দিন আগের সাঁজানো গোছানো সংসার এক একটি ধ্বং*সস্তুু*পে পরিণত হয়েছে। রাত নামলেই দু*র্বৃত্তরা প্রতিপ*ক্ষের বাড়ি বাড়ি হা*না দিয়ে বাড়িঘর ভাং*চু*র করে সহায় সম্বল লু*টে নিচ্ছে এবং কয়েকটি বাড়িতে অ*গ্নিসং*যোগ করে পু*ড়িয়ে দিয়েছে।

এমনকি রানা প্লাজা দু*র্ঘটনায় আহত এক হা*ত কা*টা লাবনীর বাড়ীও লু*টপা*ট ও ভাং*চু*রের হাত থেকে রক্ষা পাই নাই বলে ভু*ক্তভো*গীদের অভিযোগ। এ অবস্থায় দেড় শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে ভিটেমাটি ফে*লে পা*লিয়েছে। হা*মলা, হু*মকির মুখে প্রতিদিনই আ*তং*কিত মানুষ গ্রাম ছাড়ছে। চ*রম নিরাপত্তাহী*নতায় ভিটেমাটি আঁকড়ে থাকা ভু*ক্তভো*গী মানুষেরা নিজেদের ওপর ঘ*টে যাওয়া বর্ব*রতার বিচার দাবি করছেন।

কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস বলেন, আমি ১৯৯৭ সাল থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার পিতা মৃ*ত এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন কালিয়া থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। এছাড়া রাজনীতির পাশাপাশি আমি আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। যে কারণে আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছেড়ে নড়াইল শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। এলাকার কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার জনপ্রিয়তায় ঈ*র্ষা*ন্বিত হয়ে ও আমার পারিবারিক ইমেজ ন*ষ্ট করতে শুধুমাত্র কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিপ*ক্ষরা আমাকে এ হ*ত্যা মামলার আ*সামী করেছেন।

তিনি দাবি করেন হ*ত্যা পরবর্তী সময়ে নিহ*তের দলীয় লোকজন এলাকার চারটি গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িতে হাম*লা করে ঘরবাড়ি ভাং*চু*র ও লু*টপা*টসহ পু*ড়িয়ে দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের কয়েক কোটি টাকার ক্ষ*তি সা*ধন করা হয়েছে। এমনকি ধ*র্ষণের মত ঘটনাও ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি এ হ*ত্যাকাণ্ডের তীব্র নি*ন্দা জানিয়ে প্রকৃত হ*ত্যাকারিদের আইনের আওতায় এনে শা*স্তির দাবী জানান।

এ বিষয়ে নড়াইলের সহকারি পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন সরকার বলেন, হ*ত্যা পরবর্তী কিছু স*হিং*সতা সংঘঠিত হলেও পুলিশের তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত দো*ষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আসা*মীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

নড়াইলে ইউপি সদস্য হ*ত্যায় চেয়ারম্যানসহ ৪৫ জনের নামে মামলা
নিহত কাইউম সিকদার ও মোঃ মাহামুদুল হাসান কায়েস

উল্লেখ্য, কাইয়ুম সিকদার খু*নের ঘটনায় কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েসসহ ৪৫জনের নামে নিহতের ছেলে মাইনুল ইসলাম মিল্টন বাদি হয়ে একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করেছেন।