কোরআন পড়া অবস্থায় ওরা আমার স্বামীকে হ*ত্যা করেছে, আমি স্বামী হ*ত্যার বিচার চাই

4
93
কোরআন পড়া অবস্থায় ওরা আমার স্বামীকে হ*ত্যা করেছে, আমি স্বামী হ*ত্যার বিচার চাই

স্টাফ রিপোর্টার

৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও নড়াইলের কামাল প্রতাপগ্রামের রাজ্জাক মল্লিকক (৭৫) হ*ত্যা ঘটনায় থানায় মামলা দা’য়ের হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর জায়নামাজে বসে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় অবস্থায় ওই বৃ*দ্ধ খু*ন হন। তিনি সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজ্জাক মল্লিক সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পূর্ব পাশের ঘরে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি জায়নামাজে বসে কোরআন পড়ছিলেন। তার স্ত্রী পাশের বাড়ি পানি আনতে গেলে ওই সময় দু*র্বৃ*ত্তরা ঘরে ঢু*কে কু*পিয়ে হ*ত্যা করে তাঁকে।

রাজ্জাক মল্লিকের ছোট ছেলে রফিকুল বলেন, আমাদের এখানে তিন গ্রাম নিয়ে দ*লাদ*লি আছে, আমার বাবা এলাকার মুরব্বি হওয়ায় তার কথা একটি গ্রুপের লোকজন শুনতো, সেই কারণে এলাকায় একটি হ*ত্যা ঘটনায় আমাদের বাড়ী ভা*ঙ*চু*র চালায় অপর গ্রু*প,পরে ঐ হ*ত্যা মামলায় আমাদের আ*সামী করে। তারাই আমার বাবাকে আমার ছোট ছেলের সামনে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় জায়নামাজের ওপর খু*ন করেছে, আমার ছেলে ছোট হলেও সে কয়েকজনকে চিনেছে, নাম এখন বলবো না, মামলায় এজ*হারে সব জানতে পারবেন। আমরা আমার বাবার হ*ত্যার বিচার চাই।

রাজ্জাক মল্লিকের স্ত্রী হাসনাহেনা (৬২) বলেন, আমার স্বামী নামাজ পড়ার পর প্রতিদিন কোরআন শরীফ পড়ে থাকেন। কোরআন শরীফ পড়াকালে তার গ*লা শু*কিয়ে যায়। আমি তার জন্য প্রতিবেশি গিয়াসের বাড়ি থেকে পানি আনতে যাই। কিছু সময় পর আমার পুতা ছেলে এশারক (৬) দৌড়ে এস বলে, “দাদাকে কারা যেন কু*পায়ে মে*রে ফে*লতিছে”। চি*ৎকা*র করতে করতে ঘরে গিয়ে দেখি সব শে*ষ। আমার চি*ৎকা*রে প্রতিবেশিরা ছু*টে আসে। তিনি দাবি করেন, “আমাগে শ*ত্রুরাই আমার স্বামীকে মে*রে ফে*লিছে। গ্রামে দ*লাদ*লির কারণে আমার দুই ছেলেই বাড়ি ছা*ড়া, গ্রামে একটা মা*র্ডা*রের পর আমার বাড়ীঘর সব ভে*ঙ্গে ফেলেছে, ছেলেদের নামে মামলা দিয়েছে, তাই তারা লোহাগড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। তারাই আমার স্বামীকে মে*রে ফেলেছে, আমি স্বামী হ*ত্যার বি’চার চাই।

জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের রসিদ মল্লিকের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় নিয়ে গেছে। এখনো পুলিশ হেফা*জতে রয়েছে তারা।

এ ব্যাপরে সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন জানান, হ*ত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় আনা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো থানায় কেউ অভি*যোগ নিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, হ*ত্যা ঘটনার তদ*ন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।