ডেস্ক রিপোর্ট
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান মা*রা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নি*শ্বা*স ত্যা*গ করেন। তিনি ডায়া*বেটিসসহ নানা বার্ধ*ক্যজনিত রো*গে ভুগছিলেন।
রাহাত খানের মৃ*ত্যুতে গভীর শো*ক ও দুঃ*খ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার পৃথক শোকবার্তায় মরহুমের আ*ত্মার মাগ*ফিরাত কামনা করেন এবং তার শো*কসন্ত*প্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভী*র সমবেদ*না জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। একইসাথে মর*হুম রাহাত খানের সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে অবদানের কথা স্মরণ করেন তারা।
সূত্রে জানা যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাহাত খানের জানা*জা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী ক*বরস্থানে তাকে দাফ*ন করা হবে। গত ২০ জুলাই রাহাত খানের শ্বা*সক*ষ্ট দেখা দিলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের আই*সিই*উতে ভর্তি করা হয়। এর আগে তার পাঁজ*রে গভীর ক্ষ*ত ধরা পড়ে।
১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাহাত খান। কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমাদৃত হলেও কর্মসূত্রে রাহাত খান ছিলেন সাংবাদিক।
১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূ*ন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পত*ন ইত্যাদি। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসা*মরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।