নড়াইলে এখনো গ্রেফতার হয়নি গৃহব’ধূ আ*ত্মহ*ত্যা প্ররো*চণা মামলার মূল আসা*মী

1
20
সার ও বীজ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় মনিরা বেগম আ*ত্মহ*ত্যা প্ররো*চণা মামলার প্রধান আসা*মি আকিদুর শেখ ও শওকত মোল্যাকে অ*জ্ঞা*ত কারণে পুলিশ গ্রেফতার করছে না মর্মে অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের দু’মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় জনমনে মিশ্র প্রতি*ক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের উত্তরলংকারচর গ্রামের মনি শেখের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর শেখ দুবাই প্রবাসী মো. লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমানের স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে স*ম্পর্কে জ*ড়িয়ে প’ড়ে বলে গু*ঞ্জন ছিল। আকিদুর মনিরার খারা*প ছবি তুলে ব্লা*কমে*ইল ও ভ*য়ভী*তি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১০লাখ টাকা হা*তিয়ে নেয় বলে স্থানীয়দের অভি*যোগ আসে। টাকা হা*তিয়ে নিয়ে সে ক্ষা*ন্ত হয়নি। তার খা*রাপ প্রবৃ*ত্তি চরি*তার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ২৯জানুয়ারি গ*ভীর রাতে আকিদুর তার দু’সহযোগীকে নিয়ে গৃহব*ধূ মনিরার ঘ*রে প্র’বেশ করে জো*র পূর্বক অ*বৈধ সম্প*র্ক স্থা’পনের চেষ্টা করে। মনিরা এতে বাঁ*ধা দিলে আকিদুর ও তার দু’সহযোগী মহিনুর ও শওকত মোল্যা মিলে ওই গৃহব*ধূকে বেদ*ম মা*রপি*ট করে। গৃহব*ধূ মনিরার আ*ত্মচিৎ*কারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে ল*ম্পট আকিদুর ও তার দু’সহযোগী দু’টি মোবাইল ফোন ফেলে দৌঁ*ড়ে পা*লিয়ে যায়। গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর ও তার দু’সহযোগীর অ*নৈতিক কার্যকলাপে অতি*ষ্ঠ হয়ে অ*পমানে লোকল*জ্জার ভ*য়ে গৃহব*ধূ মনিরা ওই ঘটনার পরদিন ১মার্চ সকালে বি*ষপানে আ*ত্মহ*ত্যা করে।

নিহ*ত গৃহব*ধূ মনিরার স্বামী লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমান বিদেশ থেকে ঘটনা শুনে দেশের বাড়ি চলে আসে। তিনি বাদী হয়ে গত ২৮জুন তিনজনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করে। তখন এজা’হার নামীয় দু’নম্বর আসা*মি মহিনুরকে গ্রে*ফতার করে জেল হা*জতে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের দু’মাস অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসা*মি আকিদুর ও শওকত মোল্যাকে গ্রেফ*তারে পুলিশ রহস্যজনক কারণে নানা টা*লবা*হানা করছে বলে জানা যায়। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে।

অপরদিকে বাদীকে মামলা তুলে নিতে ভ*য়ভী*তি ও হুম*কি দিচ্ছে। মামলার ওই দুই আসা*মীকে দ্রুত গ্রেফ*তারের জন্য বাদী ও নিহ*তের স্বজনরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সাফাত রহমান বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। ওই পলাতক দুই আসা*মিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’